অতৃপ্ত বাসনার আত্নজীবনি


বাসন্তী তোমার আমার কোন যুগল ছবি নেই, যা দেখিয়ে বলবো- 'এটাই আমার প্রমান পত্র' অথবা কোন দলিল।।
তুমি শুধু আমার।


আমাদের সবকিছু গোপন ছিল, আমাদের ভালবাসা টুকুনও লোকচক্ষুর আড়ালে ছিল সর্বদা, এখনো তাই।
তাই বলে হালকা ভেব না!! আমাদের দুজনের প্রেম গভীর গিরিখাতের মত।
শিলাপাথরের মত শক্ত, গভীর সাগরের মাঝে শিলাস্তর ভেদ করে যেখানে জল পড়ির বস।


আমরা কোথাও কোন ছবি তুলিনি গোপনে, রেখে দিইনি গোপন কোন কুটিরে, অথবা চোরাগুপ্তা কোন ঢেরায়।
আমরা কথাও বলিছি গোপনে, হাতও ধরেছি অতি গোপনে- সন্তোপনে!!
কুটিলতা ছড়ুক পাছে এই ভয়ে। আলিঙ্গন করেছি গোপনে কিন্তু দুটো শরীরের উষ্ণতা একত্রিত করে অসিম মুগ্ধতায় উড়েছি সুউচ্চ গগনে।


আমরা ভ্রমণ করেছি গোপনে
তারপর ধুয়ে ফেলেছি আমাদের সব পাপ
সেটাও অনেকটা গোপনেই।


আমরা একা একা থাকি
একই শহরে-
দূরত্ব কেবল পথের।


মাঝে মাঝে আমরা ভ্রমণে যাই
আন্তঃনগর বাসে, কখনোবা ট্রামে চেপে-
সেখানে আমাদের কেউ চিনত না, কেউ বলত না- কোথা যাচ্ছ ওরে আমার সোনা।


শহরে ঢুকেই আমরা আবার বিযুক্ত হয়ে পড়ি
যেন আমরা কেউ কাউকে চিনি না-
কাল- কালন্তরে আমরা অচেনা আছি, থাকব।


প্রকাশ্য হতে আমাদের মানা, কেননা আমাদের সম্পর্ক বৈধ নয়-
অথচ আমরা দুজন দুজনার।
আবার ঘর বাধাও এক্কেবারে মানা, জাগতিক সমাজ বড় নিষ্টুর, নির্দয়। তারা ভালবাসা বোঝে না শুধু যাচে কামনা তারা লিলা ভক্ত, তারা সাধু।


আসলে আমাদের দুজনের অনক যুগল ছবি আছে স্মৃতির অন্দরমহলে -
শুধু প্রকাশ্যে দেখিয়ে বলতে পারি না- 'বাসন্তী তুমি আমার'।।