অতঃপর তিনি খক্ করে কেশে
মালিকের বেশে-
রকিং চেয়ারের হাতলে রেখে হাত
একবার এদিক আরেকবার ওদিক হয়ে কাত,
সম্ভাষণ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বললেন সুপ্রভাত ।
আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি আপনাদের প্রতি ,
যারা এসেছেন মনে করে কাজের গুরুত্ব অতি
আবারও ধন্যবাদ জ্ঞাপণ করছি তাদের প্রতি ।
যারা এসেছেন ভেঙ্গে লকডাউন
গ্রাম হতে এই টাউন !
পই পই করে বুঝিয়ে বললেন
আমি যা বলেছি তা কি কিছু বুঝলেন?
ব্যবসা অসফল -
যাচ্ছে সব বিফল ,
হচ্ছে মুনাফা বিকল ,
বেতন ভাতা পরিশোধ কেমনে করিবো সকল?
সহসা এক শ্রমিক কম্পিত ঘেমে নেয়ে
কাটছে জীবন অতি মানবেতর খেয়ে না খেয়ে ,
হয়নি তো পুরো বছর আমাদের দ্বারা কোন লোকসান
তবে কেন আমাদের দুর্দিনে এই প্রতিদান ?
একটুও কি ভাববেন না মশাই আমাদের অবদান ?
এমন করে মহাকালের হাত ধরে
শ্রমিকের প্রতি মালিকের ঋণ যাচ্ছে শুধু বেড়ে,
গড়ে তুলছে প্রাসাদ অট্টালিকা মানবতার কাছে হেরে ।
প্রতিটি ইটের ভাঁজে , কে জানে কত প্রাণ রেখেছে ওরা গেরে ?



#রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ
১৯/০৫/২০২০ ইং


#এই মহামারিতে দেশের তৈরী পোষাক শিল্প কারখানার মালিক/কর্মকর্তা গণের শ্রমিকদের প্রতি বিরূপ আচরণে ক্ষুব্ধ এক শ্রমিক কবিকে অনুরোধ করেছিলেন তাদের নিয়ে যেন কিছু একটা লেখা হয়।