ঊমা আসার আর একটু অপেক্ষা  
বড় সন্তোষ অনুভবে ,
কত দিন যেন দেখি নি মা গো  
আসছো তুমি কবে ?
কাশ বনে ,শিউলি ফুলে
পেজা তুলো মেঘের নীল আকাশে ,
তোমার ছোঁয়া শরতে সর্বত্র
শিশির ভেজা ও ঘাসে ।
আমার চিন্তা ভিন্ন মা গো-
তোমার আগমনের ,
উথাল পাথাল কালবৈশাখীর পরে,
বৃষ্টি ঝরা যেমন সুখের ।  
থই থই জলে বুক ভরা নদী
সিক্ত মাটির প্রাণ ,
শুস্ক ডালে ভরা কুঁড়ি রাশি রাশি,
তোমারই তো সব দান।
গৃষ্মের ছুটি শিশুর মনে
জাগায় প্রফুল্লতা ,
এরপর আসবে পূজোর ছুটি ,
ভাবনাতেই প্রসন্নতা ।
দীন দৈন্যের অর্থের যোগান
শুরু হয় চৈএ হতে
সেলের কাপড় কম মূল্যএর,
সব্বাই চায় কিন্তে ।
ফলের বাজারে মজুতের সম্ভার
পূজো আসার আগে ,
হিসাব কোষে দিন গোনা রয়,
পঞ্জিকার  দাগে দাগে ।
রথের দিনে মায়ের কাঠামোতে ,
মাটির প্রলেপ পড়ে ,
মহালয়ার ঊষা লগ্নে হতে
ঢাকী,কাঁসি র ডাক পড়ে
  তুমি আসছ, কত কারিগরীর
কত হাতের কাজ,
কত যতনে  আল্লাদী  মন
গড়বে তোমার সাজ ।
আগমনী গানের স্বরলিপী লেখে ,
পৌরানিক সাবেকে
মায়ের গানে ভূবন ভরাবে ,
শিল্পী গণ আবেগে ।
পুরো প্রকৃতি জুড়ে
অপেক্ষা শুধু মায়ের চার দিন পাওয়ার
কত জীবিকা নির্ভর থাকে
উপার্জন করার ।
তোমার এই সৃষ্টি ধরায় ,
তোমায় যদি সকল পায় ,
অশ্রু সজল সিক্ত হৃদয়ে
সকল জ্বালা জুড়ায় ।