ঘাট



একটি মেয়ে আসতো জল নিতে
প্রতিদিন সকালে গঙ্গার ঘাটে
কলসি নিয়ে,
পায়ে নূপুর
কোমরে বিছা
হাতে চুরি
চুলে সিঁথি
মাথা ভরা কটি কেশ
মায়া ভরা মুখ তার,
আর সাথে
পাখির গান
গাছের পাতার নাচন
মৃদু সুরে বাতাস
সবটা মিলে মনটা ভরে যেত
তখন গত রাতের আধপেটা
খাওয়ার কথাটা মনে থাকত না,


ছেলেটি ভাবল, এই ভাবে আর কত দিন যাবে
বুকে সাহস নিয়ে সে - ই তার মনের কথা বলবে
কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজকে একটু পাল্টানোর চেষ্টা করবে
অর্থাৎ মেয়েটিকে সে তার মনের কথা বলে বিয়ের প্রস্তাব দেবে,


কিন্তু হঠাৎ মেয়েটির নদীর ঘাটে আসা বন্ধ হয়ে গেলো,
একদিন ছেলেটি শুনল মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেছে,
তবুও সে ছেলেটি আসতো প্রতি সকালে গঙ্গার ঘাটে
তার মন টানতো নদীর ঘাটটিকে,


কিছু দিন পর,
গঙ্গার ঘাট থেকে ফেরার সময় দেখলো
পুকুর পাড়ে একটি আবছা চেনা মুখ
সেই মেয়েটি,
সবসময় ঝোপের আড়াল থেকে মেয়েটিকে দেখত ছেলেটি
পুকুর পাড়েও ঝোপের আড়াল থেকেই দেখলো
পরে নিঃশব্দে ছেলেটি একটু এগিয়ে গিয়ে দেখলো
সেই মেয়েটি
যাকে সে বিয়ের প্রস্তাব দেবে ভেবেছিল
যার জন্য সমাজকে পালটাবে ভেবেছিল
সেই মেয়েটি,
আজ সাদা কাপড়ে
পায়ে নূপুর নেই
চুল নেই মনে হয় মাথায়
তাই সাদা কাপড়ে ডাকা
হাতে চুরি নেই
মুখটি আরও মায়া ভরা হয়ে গেছে,


ছেলেটির চোখ থেকে জল পড়তে লাগলো।


                  সমাপ্ত



খুব কঠিন বিষয় এ হাত দিয়েছি, ভুল হলে বলবেন......