বিশ্বাসের বৈপরীত্য, শুরু থেকে অদ্যাবধি ঔদ্ধত্যে
তাকেই দেখছি পাশে দণ্ডায়মান।
অথচ এ ঘরের আ নাচে কোনাচে কোথাও দিইনি কখনো ঠাই, দিইনি এমনকি শত্রু হবার ও অধিকার।


তবে কী এ-ই ভাগ্য লিখন?
সে-ই একমাত্র এবং বিবিধ?
প্রেমে নেই কেউ, নেই কী তবে অপ্রেমেও?
জীবনে জোয়ার না এসে ও বুঝি চলতে থাকে ভাটির উজান?
ফিরে যেতে না চাইলেও, পৌঁছে দেয় হ্যাঁচকা টান?
গতির অভিমুখে ছোটা কল্পনা প্রবণ মনের কী-ই-বা ধরণ,
         জানতে  কী ইচ্ছে করে না কারো?
প্রজন্মগুলো উত্তর জানা যার, সে কেন নির্জনতায় থরথর?


শিখেছিলাম দুই গতির নাম।
আহ্নিক আর বার্ষিক দুই রূপ যা'র
জীবনে না কী থাকে উত্থান, পতন?
তবে এ কেমন একঘেয়ে অবরোহণ
লেখা সূচিপত্র।
নামছে তো নামছে ই- - -
উড়ে উড়ে আপনা থেকেই
ছিঁড়ছে ক্যালেন্ডার!


"তুমি" কী থেকেও নেই?
পারছ না যে, থামিয়ে দিতে
এমন দুর্গতি ক্রমাগত নিম্ন গতি?
দু'বাহুতে জড়িয়ে নিতে সর্ব স্বত্ব,
কেন এত বাধে?
হৃদয়ে বেধে নিয়েছিলে যাকে,অমন অবাধে!


মাঝে মাঝে অস্তিত্বহীন মনে হয় নিজেকে।
মনে হয়-
মহা শূন্যের সৃষ্টি যে শূন্য থেকে
আমিই বুঝি সে।
শূন্যতাকে যার প্রাপ্তি ভেবে নিতে হয়,
যারা আসে, তারা করুণা ভরে বাড়তি আরও
শূন্যতা দিতে আসে,
বুঝি আমি এরই যোগ্য! শূন্যতার উদাহরণ


দিতে দিতে দেয়া-ই অভ্যাস
নিতে জানলে ও; নেয়া র সুযোগ তিরোহিত।


যার কাছে সংরক্ষিত,প্রাণের ভ্রমর
বেমালুম সে ভুলে আছে
সেই মাংসল-সিন্দুকের খবর।