গুড়ো গুড়ো বিস্কুটে মিশে থাকে,
কারো দেয়া আদুরে ডাক নাম।
গোটা পরিবার বিস্কুট খেতে ভালোবাসি,
ভালোলাগে- "নাবিস্কো হক বিস্কুটের"
                          মাতোয়ারা ঘ্রাণ!
কৈশোরে কতবার যে গেছি-
তেজগাঁও শিল্প এলাকাতে;
           মজাদার বিস্কুটের ঘ্রাণ নিতে!
সুগন্ধেই ভরে যেতো মনের ক্ষুধা আর প্রাণ।


সেকালে মধ্যবিত্ত পরিবারের বিকেলের নাস্তায়
এক প্লেট বিস্কুট হতে পারতো "গ্লুকোজ" সহজে,
"হক বিস্কুট" নয়। বিবাহিত জীবনে অভাব টের পেলেই তীব্র হতে থাকতো-
বিস্কুটের সেই প্রিয় ঘ্রাণ,
বাড়িয়ে দিতাম স্মৃতির মাত্রা---


দেখতাম পরিবারে সবার হাসি মুখ,
আর কত দ্রুত প্লেট খালি করে,আমাদের
হাতে হাতে ধরে থাকা-
নানান বিস্কুট।
সংসারটা রোদ ঝলমল করে উঠতো-
ভ্যাপ্সা গুমোট দুর্গন্ধ কাটিয়ে


তুমি কে ছিলে ঠিক মনে নেই! তোমার তখন কবি হওয়ার নতুন দশা। চাইছিলে নতুন কোনো ভাবনার অভিনবত্ব। আমি তাই তোমার কাছে কৌতুহল উদ্দীপক কেউ। আমিও তোমার কথাতে বিস্কুটের ফ্লেভার পেয়েই খুশি। আজও বিস্কুট খেতে গেলেই ঘ্রাণের তীব্রতা খুলে দেয় স্মৃতির বিস্কুটের টিন, বিস্কুট ঘেটে ঘেটে মনে পড়ে যায়-" বিস্কুটি"
আমায় দেয়া ডাক নাম,আর-
বিস্কুট ফ্লেভারড;বেনামি কবি- তোমাকে।