নাচলেই কী নুপুর বাজে নিক্কণে?
গাইলেই কী শোনা যায় সুর- সু মধুর?
বাজালে কী বাজে সেতার- সাত তারে?
সব শিল্পই কী প্রকৃত শিল্প? সবাই কী শিল্পী-
মান বিচারে?


এত কিছুর ভীড়ে কী করে মন;মনে রাখে কারো-
বিশেষ সুর,
নৃত্য ঝংকার ছাপিয়ে-
পদ্ম-কোমল মধ্যমার আঙ্গুল?


সে-ই যে কবে,থেমে গেছে গান গেয়ে- অন্ধ ভিক্ষুক।
বাদ্যযন্ত্র বিনা,খালি কণ্ঠে গাওয়া-
অমর যে গানের নেই স্বরলিপিকার,নেই স্বরলিপি
তবু এত ভালো-লাগা নিয়ে মিশে আছে যা
শ্রোতার প্রাণের মুগ্ধতায় মাখা
এ জগতে কে-ই-বা আছে,
তার চেয়ে বড় শিল্পী?
যদি পায়- শ্রোতব্য শ্রোতা,
প্রয়োজন পড়ে না- জনপ্রিয়তা।


অন্ধ আলতাফ কী জানে,সেদিন তার পাশে বসেনি
যে লজ্জায়,
আজ সে তাকেই কী যত্নে ধরে রেখেছে-
স্মৃতির মনিকোঠায়?
ষষ্ঠইন্দ্রিক বিস্ময় কী মুছে ফেলা যায়?
আলতাফ,তুমি প্রেমের গান গেয়ে যাও নির্দ্বিধায়।


রহমত আলী কাকার আঁকা পাখিগুলো আজও-
মুখরিত কূজনে। গুটি বসন্ত দাগে ক্ষতময় আদল-
বিমূর্ত রুপে। বসন্তের দাগ ছিলো,নাম না জানা সেই- ভিক্ষুক শিল্পীটির মুখাবয়বে। জাতি বসন্তের দাগ ছিলো আমার আপন দাদীর ফর্সা মুখের ত্বকে। রুপ বিচারে তারা শিল্পী নন কেউ-ই,
পরিচয় তাদের-
গুনের কদরে।