অভয়ারণ্য,কা'র না পছন্দ?
                   কেনো পছন্দ?
যদিওবা সবাই জানে;সে পথ-
             দুর্গম,গহীন,
                    শ্বাপদসংকুল!
তবুও ইচ্ছে হয় যেতে-
              সুন্দরের অনুকূল।


বাবলা শিরিষে প্রজাপতি,সবুজের ভীড়।
ঝাঁকে ঝাঁক পতংগ,পাখিদের নীড়।
নানান গোত্রীয় পশু,পরজীবী কীট,
সুখী জীবন ওদের,নিকুঞ্জ শান্তির!


হিংসা নেই,বিদ্বেষ নেই,
রেষারেষি নেই অহেতুক,
নেই- একে অন্যকে করা- কটাক্ষ ও বিদ্রূপ।
হীন প্রবণতা নেই,বিশৃঙ্খলাও নেই,
ওরা সবাই নেতৃত্ব মেনে;শান্তিতে থাকাতেই
সদা উদগ্রীব।


চাইলেই-
ছোট পাখিটাকে হটিয়ে দিতে পারে-
ডাকসাইটে বড় পাখিগুলো,দিচ্ছে না।
যে যার মতো করে,ওরা ওখানে বাস করে,
অথচ এমন সুসম্পর্কে,যেনো-
আত্মীয় সম্বন্ধ!


কাকবতী স্নেহে;বেড়ে ওঠে- সুরের কোকিল। অপাংক্তেয় অনেক জীবন,বেড়ে ওঠে এমন- অসূর্যম্পশ্যার মতন। পরিচয়ে কুলীন
অহিংসুক কোকিলের সুর;বিষাদে কেঁদে ওঠে-
তাই ব্যথিত জীবের জন্য,
সমবেদনার ব্যঞ্জনায় অনন্য!


বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে- দোয়েল বাচ্চাটা,
আশ্রয়ে তা'কে কাছে টেনে নিলো কে?
কা'র ভেজা গা নিজে ভিজে;আগলে নিয়েছে?
এমন মাতৃত্ব দেখায় কে?
- কাকের ডানা।


পরিচয় কি লাগে- স্নেহ ভালোবাসা দিতে?
সামাজিক নিয়মে অনেকেই তো আত্মীয়,
স্বজন কোথায়?কোথায় সহমর্মিতা,ভালোবাসা?
এ অনুভূতি কি শুধুই লোক দেখানো,কেবলই স্বার্থ?
মনের মায়া- রুদ্ধ বিরুদ্ধ কি- সম্পর্ক- অসম্পর্কে?


কে এসে পাশে দাঁড়ায়,যখন তুমি সড়ক দুর্ঘটনায়-
                                 পড়ে থাকো রাস্তায়?
কা'রা ওরা?-
সারিবদ্ধ দাঁড়ানো- লাশের পেছনে,
                       তোমার নামাজের যানাজায়।


নিয়মের নিয়ম তবুও কেনো যে- বাধা হয়ে দাঁড়ায়!
যখন সময় আসে পরিচিতি দিতে,ধরা পড়ে যায়;
ডাকতে পারেনি বলে-কোকিল ছানা টা,
"কা"!"কা"!"কা"! হারাতে হয় তা'কে তার-
মায়াবতী কাকের আদর,ছায়া ও মায়া।
সেই স্নেহ সুধা মনে রেখে,ডেকে ওঠে বসন্ত।
বাজতে থাকে হারানোর শোক-
কুহু সুরে,মিহি স্বরে।


যে বুঝে;সে বুঝে,
বসন্ত কোকিলের সেই তানে থাকে-
কাকবতী মায়ের স্নেহ-ধন্য
                   অহর্নিশ- কৃতজ্ঞতা!


চাও না কি হতে,অন্তত- ওদের মতো?
ভালবাসতে,শান্তি আনতে কি তুমি উদ্যত?
দেশের মানুষকে ভালোবাসো না মানে-
তুমি এই দেশের না!এই দেশ তোমার না!
আমারও তুমি কেউ না!