কেদে কেদে কেটেছে প্রহর, অনেক বছর!
আসেনি মৌসুমী বাতাসে ভর করা সুখবর।
কেবলই লু-হাওয়া উড়িয়ে আনা ঝড়;
সাইমুমের বিতন্ডা! তপ্ত বালির খর-খর।
হাহাকার আর শূন্যতাকে তাই করে নিই বিস্তার,
আলাপে তান তোলা- বেহাগই সই,
বিবাগী জীবনের নিত্য দোসর।


তুমি কী সেই কাংখিত সুন্দর!
অধিকারের দাবীতে পাওয়া হয়-না যা'কে,
চাওয়ার সীমাতেই; নিত্য যে যায় আর আসে?


এই যে এত কাছে, দূরত্ব মাড়িয়ে আসা
প্রকাশে; তবু কেন তা'কে,এতখানি হেয় করে রাখা?
তবে কী দূরত্বকেই ভেবে নিতে হবে প্রাপ্তি?
চাইতে নেই বুঝি এর চেয়ে কিছু বেশি?
মিলনের আকাঙ্ক্ষা; সে-ও-কী জৈবিক?
বুঝি তাই, সীমালংঘনের এত ভয়?


দূরের ভালোবাসায়; যে মাত্রা অটুট থাকে,
তাকে কেন নতুন কোন সম্পর্কের সন্মান দিয়ে
ডাকা নয়?
অপাপবিদ্ধ সেই সুসম্পর্কে; তবে কেন আড়াল?
তবে কী কামনা চরিতার্থকরণেই লোকের শ্রেষ্ঠত্ব?
অধিকার অর্জণই জয়?


যাকে এত ভালোবাস, তাকে সবার সম্মুখে
দাবী নিয়ে তো ডাকতে পারো!
তোমার দেয়া আদুরে নামটি ধরে তা'কে
ডেকে দেখ তো!
মনে করিয়ে দাও; সেইসব প্রেমময় দিন-রাত্রি,
সাঝের বেলার স্মৃতি।


দূরে থেকেও যেমন ছিলে দূরে,
রয়ে গেছো সেই একই দূরত্বে;কাছে আসার পরে।
অস্পর্শে মায়ার টানকে যদি;
আভিধানিক কোন নাম দেয়া যায়,তা-ই দিও!


সে নামের প্রতি অক্ষরে ছুয়ে থাকবে তুমি,
আঙুল রাখতেই কেপে ওঠবে তীব্র স্বর,
স্বরবর্ণ আর ব্যাঞ্জন বর্ণ দিয়ে গড়া;তোমার কদর।
মনের রাজ্যে;একক প্রবেশাধিকারে
এভাবেই করে নাও; একক রানী,তোমার আমাকে।