প্রতিভাত সত্য,যে যার অন্তর্নিহিত রুপ প্রকাশে।
কেউ বানিজ্যে,কেউ স্বার্থে।
ভালোবাসা প্রেম;থাকে কোন দেশে?
সব থেকেও;তবে কেন তুমি নিঃস্ব অবশেষে?


হারিয়ে খুজছো যাকে, সে কী আদৌ তোমার?
ফিরে পেলেই বা কী, সে আসলে কার?


যে বাশীর সুর এই বাশি ছেড়ে,চলে গেছে সরে
অন্য বাশির ঠুনকো আবদারে,
আজ কেন খুজে ফেরো সেই পুরনো বাশিতে
হারানো দিনের সুর?
সময়ের সংহারে,রেখে গিয়ে অনাদরে
নিয়ে গেছ যে যার মত; যার কাছ থেকে স্বার্থটুকু নিংড়ে,
কেন তবে পিছু ফিরে, আবার খোঁজো তারে?


মানুষ কী পারে; নিজের ভেতরকার নিগুঢ় সত্যকে এড়াতে?
পারে কী তার সত্যকে উপেক্ষা করে; মাথা তুলে দাড়াতে?
এটা কী নিজের সাথে নিজের বেঈমানী  নয়?
সে-কী বালির প্রাসাদের মত ভীতহীন নয়?


ঝুরঝুর করে ঝরে পড়বে যেদিন সব!
সেদিন কী মনে পড়বে না? তোমাকে দেয়া উপহার-
সেইসব সময়ের ঋণ? সকাল, বিকেল, সন্ধ্যা, দুপুর
রাত্রি নিশুতির স্মৃতি? প্রকৃতির মত সৌন্দর্য্যমন্ডিত
যার মনের সারল্য; কথা আর হাসি?
এতটা বছর সাধু সেজে থেকেছো যে তুমি,
কার দেয়া ভালোবাসার পুজি নিয়ে?
দিব্যি অস্বীকার করে;বাড়ালে নিজের মূল্য
আত্মপ্রবঞ্চনার দায় এড়িয়ে গিয়ে।


লোকে যা জানে, তা মিথ্যে জানে
তুমি যা দেখাও; তা-ও সাজানো।
তুমি যাকে ঈর্ষায় ঘৃণায় ছুড়ে ফেলে প্রশংসা কুড়িয়েছ,
আজ সেই মানুষটিই কেবল তোমার ভাবনায়


হাতড়ে বেড়িয়ে খুজছো তুমি কী?
অতীত? সে তো সব সময় বর্তমান নিয়েই থাকে!
অতীতে যা জেনেছো; সেই একই রয়ে গেছে সে
বদলায়নি একটুও!


তুমি বদলেছো বলেই আজ তুমি অহমিকামুক্ত।
সেদিনের ভুল ছিলো তোমার দিক থেকেই,
আজো তুমি একই ভুলে রয়ে গেছো।
আত্মম্ভরিতাই সরিয়ে দিয়েছে, শুন্য-ও করেছে।
তোমার সকল শুন্যতা মুছে দিতে যাকে খোজ,
যাকে পেলে খুব ভালো থাকো বোঝ,
সব জেনেও কেন তবে চুপ আছো?


নিজেরই চোখের অশ্রুকে; কাজল-রেখায় টেনে,
ঔষ্ঠ্যে ছোয়ায়ে নিজ তর্জনী আঙুলের চুম্বন,
দুই করতলের আদরে যে নিজেকে;নিজেই রাখে বাচিয়ে,
তাকে মানুষ আর কী দান করে দয়াবান হতে চায়?
যে পেয়েছে অবচেতন মনে ঠাই,
সে-কী এর বেশী পাওয়ার মত?
তার চেয়ে বেশী প্রাপ্য কী-সে যোগ্যতায়?
তবে কারা ওরা অমন গদগদ অহমিকায়?


আবার হাসছে সে দেখো; সেই হাসি!
পাহাড় জাগছে, সমুদ্রতটে ছুটে আসছে-
সমূহ নদীর জোয়ার, তবে তুমি কেন
এই যৌবনেও; অজোয়ারে?
লোকে না জানা, কাক-পক্ষীও টের না পাওয়া
এ-কী সেই পাপের শাস্তি? যার অপব্যাবহারে
থামিয়ে দিয়েছিলে নির্ঝরিণীর হাসি?