যার কাছে বিশ্বাস কেবল; সাময়িক অপেক্ষা,
সে যেন কাউকে ভালোবাসার কথা না বলে!
প্রতিক্ষা মূূূলত, বিশ্বাসের নিমিত্ত।


অপেক্ষাকে প্রতিক্ষায় রুপ দেয়ার ব্যর্থতা
খুজে আনে কিছু অজুহাত।
স্বার্থ, অভিনয়, ভান ও লোভ
নানান বাহানায় পড়ে থাকে; সত্যের মুখোশ।
আড়াল সরে গিয়ে; বেরিয়ে আসে কপট।
হেরে যায় ভেতরে পুষে রাখা কারও নির্ভুল,
         অন্যজনের কামনা ও মোহের কাছে।


কোন দোহাই দিয়ে সরতে চাইছে; দীর্ঘদিনের শ্বাস?
অর্জণে যে নেই, বিসর্জণের তালিকায় সে আসে কী করে?
এ কেমন অস্থিরতা? কেন এমন পালাই,পালাই?
অবিশ্বস্ততা চোখে পড়ে সবখানে,
তবে কেন লোকে সততার কথা মুখে বলে?
                                     
তুমি যা; তা-ই তোমার অপেক্ষা।
অপেক্ষা না করতে পারার মানে,
           ভালবাসার চেয়েও মন গুরুত্ব দিচ্ছে অন্যখানে,
           যার পিছু ছুটে গেছে তোমার; ভংগুর অপেক্ষাকে
           গুড়িয়ে দেয়া; দ্রুতগামী ট্রেন,
           যার প্রতিটি বগিতে বোঝাই; চোরাই মাল,
                         মিথ্যের লেবেল এঁটে, অভিনয়ের মোড়কে।


লোকে যাকে দূর থেকে দেখে ভাবে-;সুখের মালগাড়ি
আসলে তার গায়ে; পোষাকি লালের ভড়ং,
বিশ্বাস থেকে সরে যাওয়া সেই তুমি
           আসলে লালসারই অনুগামী।


উহ্যরা তাই প্রকাশিত।
কী আর হবে, রাবার টানার মত সম্পর্ককে টেনে ধরে রেখে?
চাতুরীকে আড়ালে রেখে; ভালবাসা বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছিলে যাকে
সে-ও আসলে সে সময়কার স্বার্থ, 
তোমার অক্ষমতার অসহায়ত্ব