মৃত্তিকাকে সৃষ্টি করা হয়েছিলো
চরম ঘাতসহ সর্বংসহা করে,
পৃথিবীর আদিম শূন্যতাকে ভরে দিলো
মৃত্তিকা তার সর্বস্ব ঢেলে।
জলের হৃদয় ভরে দিতে গিয়ে
নদীরা পেলো কূল,সমুদ্ররা পেলো তটে আশ্রয়,
পৃথিবীর ইতিহাস এগিয়ে চল্ল এভাবে-
জল ও মাটির সখ্যকে ঘিরে।


এদিকে আসমানীর প্রেমে মুগ্ধ মৃত্তিকার সময়
কেটে যেতে থাকলো এক বিশেষ নিয়মে।
দিনগুলো হাত ধরলো রাত্রির,রাতের হাত ধরে কাটালো দিন। দিবস রজনী পার হতে থাকলো এমনি-
মন থেকে হেঁটে মনে।
অমর হতে চেয়ে মৃত্তিকার প্রেম,
ধেয়ে চল্ল আকাশ পানে।


অধরা কন্যা সে আসমানী!
ধরা দেয় না,ছোঁয়া ও যায় না!
গালে টোল ফেলে হাসতে থাকে
আসমানীর ছলনা,
রোদে চুল শুকোতে দেয়া-
মিষ্টি সে মায়াবতীর দূর্ণিবার আকর্ষণে,
আকাশ বরাবর মৃত্তিকা;গড়তে লাগলো
যে সেতু,তার নাম পাহাড়।
পাহাড় কোনদিন আর আসমানীর বাড়ি
পৌঁছুতে পারলো না!