আমার জন্ম
সব পুরুষের প্রেম দুমড়ে মুচড়ে
লুন্ঠন করবার জন্য।


যে প্রেমিক তার প্রেম প্রকাশে আমাকে তার প্রেমে রাখে,
আমি সেখানে।
যে পুরুষ আমাকে অবজ্ঞা করার ভান করে,
আমি তার অপ্রকাশে।


যে পুরুষ সারা রাত ছটফট করে
পরদিন আমাকে দেখিয়ে দেখিয়ে অন্য রমণীর প্রেম যাচে
জানি আমাকেই; সে নারীর কায়ায় ছায়ায় চাইছে!


দিনের আলোতে যে, একইসাথে
চার পাচ নারীর প্রেমে বাহুলগ্না,
যে পুরুষ ঠান্ডা মদে; চুমুকে ঢালে ব্যাথার গরল,
সে-ও নেশা শেষে ভাবে, অনর্থক মদ গেলো লিভারে
মন থেকে তবু সে গেলো না!


যে নিকোটিন পোড়ায়ে; পোড়াতে চায় নিত্য স্মৃতির তরী,
তারও নিকোটিন পোড়ানোর জ্বলন্ত আগুন আমি।


যে পুরুষের উত্থান রহিত
সে-ও আমায় দেখে একবার ভাবে
উত্থিত হওয়াকালীন ঠিক কেমন যেন বোধ হতো?


যে তুমি নীল নয়নার প্রেমে হাবুডুবু
সে-ও জানো, সে নীলের মধ্যিকার গভীর নীল বেদনাতে
মুহ্যমান নীল তারকার নীলে আমি পুঞ্জিভূত।


যে কবির মানসী ছিলো এতকাল কোন বালিকা,
সে কবির হাতে এখন আমার বিনুনি।
যে চিত্রীর তুলিতে ছিলো অন্য দেহ,
সে দেহের বাঁক দখল নিয়েছি আমি।


যে শিল্পীর সুরের লালিত্যে প্রেম ছিলো,
সে-ও জানে না, কখন সেখানে সে
আমার জায়গা করে দিলো!


যে শিল্পের নেশায়; সমস্ত জীবন ধরে নিজেই নিজের কামনা বাসনাকে বিসর্জণ দিয়েছি, সে শিল্পে আমি আজ সর্বত্র।
অথচ আমাকে সরাসরি দেখে; সবার কেবল
কামনার কথাই মনে হতো।