পাখিদের কাছে আমি ঋণী।
ওরা শিখিয়েছে-
মিঠেল সুরে গাইতে।
কাকদের চোখে দেখেছি-
বিশ্বস্ততা,কর্তব্যনিষ্ঠা
নিঃস্বার্থ সেবার সততা।


দেয়াল চিনিয়েছে-
আমার সুরের সৌন্দর্য,
যার প্রতিধ্বনি কানে ফিরে এসে
সু মধুর সুর শুনিয়ে গেছে।
কথা,কবিতা'র প্রতিধ্বনি শুনে তাই
যাচাই করা গেছে-
শ্রোতাদের কাছে নিজ সুরের আবেদনযোগ্যতা।


দেয়াল জানিয়েছে-
তারকা শিল্পীর মত গাইতে জানি।
আরও শিখিয়েছে-
আড়াল আর দূরগামিনী।
অনড় অটল আমি তাই সুরের বিস্তারে নিষ্ঠায়,
বিশ্বাসে-স্রষ্টা ও তোমার প্রেমের একাগ্রতায়।


বাতাসের হুঁ হুঁ শূন্যতা জানিয়ে গেছে-
রিক্ততার ভাষা। শিখিয়েছে-
এক বুক শূন্যতা ধরে কী করে-
মানুষের হৃদপিন্ড পায় উড়বার অভিজ্ঞতা।
হৃদ পাখি তাই নির্দ্বিধায় খুঁজে পায়
মুক্তির আস্বাদ,উড়বার ডানা।


প্রজাপতিদের রঙ বাহারি শিখিয়েছে-
স্বপ্নিল আশা চোখে বইবার ক্ষমতা,
সেই সাথে-
চির সবুজ হয়ে বেচে থাকা!


ফড়িং জানিয়েছে-
ইছামতী নদীর আত্মকথা,
সেই সাথে নিয়ে গেছে-
পৃথিবীর বুকে এক খণ্ড স্বর্গীয় বিলের ধার,
যার পাড়ে নিয়ে,এক এক করে চিনিয়েছে-
পানি ফল,জল-মাকড়,কচুরি ফুলের বেগনির ভিতর
নীল অপরাজিতা ফুলের নীলাভ জল ছাপ।


সারি সারি দূরের পাহাড় গুলো হয়েছে-
আমার গানের বোদ্ধা। শিখিয়েছে-
ধ্যান নিমগ্নতা। জানিয়েছে-
ওদের একদা উদ্ধত উত্থান কী করে-
বর্তমান পতনের কারণ।
তাই তো পাহাড়ে নামে ধস!
অহমিকা ঔদ্ধত্যে অন্যকে তাই
তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে নাই।