রান্নার চুল্লীতে আগুন ধরাতেই- “দহন”।
চুলোয় হাঁড়ি চাপিয়ে, তেল দিতেই
তেতিয়ে উঠলো তেলে- “রাগ”, “অনুরাগ”।
এবার পেঁয়াজ কুঁচো, রসুন দু’কোয়ো
দিয়ে নেড়ে দিলে হ'লো- “রোমন্থণ”।
একটি কথারও বিস্মরণ ঘটেনি,
একটি শব্দের-ও-না।
কণ্ঠস্বরের আরোহণ-অবরোহণ
কিছুই ভোলেনি। তার -
স্মৃতি; মূর্ত-কবিতা!
বুকের পাঁজড় জাপ্টে ধরে থেকে
বারবারই তো মন চিৎকার করে বলছেঃ
“দোহাই তোমার, এসো না...
থেকো-না বাঁধন হয়ে; স্মৃতির আখড়ে...”
তবুও কেন যে?
বড্ড ক্ষয় হয়ে গেছে,
হাঁড়িতে পেঁয়াজ-রসুন- পুড়ছে ধা!ধা!
পুড়ছে কবিতা।