দীর্ঘ পথ হেঁটে মন মরুতে, দূরের মরিচিকাকে জল ভেবে থেমে,
আকণ্ঠ বিষ করেছিলে পান।
ব্যথায় নীল হতে হতে, শুন্যতার সংকটে, এতটুকু প্রাণ বায়ু নিতে
কখনো হা করে মুখ; চাতক-বৃষ্টি যেচে
কখনো ছটফটিয়ে,
আমি, তুমি, সে-
আমরা, তা'রা সব জন; নির্জন
শীতল পাটি পাতা ধ্যাণে, নিরবতা ভেঙ্গে
যাচিতে ছিলো যখন - ঈশ্বরের হাত
ছলনার এক জোড়া চোখ, নাকের হাড়
তার ঠোঁটের বক্রতা স্পষ্ট উচ্চারণে বলে-
আমি-ই ঈশ্বর!
বাড়িয়ে দিলো হাতের এ-পিঠ, ও-পিঠ,
শিরা ধারাপাত - লাবণ্য উপচানো।
হায় অদৃশ্য ঈশ্বর! তোমাতে যাচ্ঞা করিতেছিলো যে নিমগ্ন ধ্যানী,
তা'কে উপেক্ষা করে, কেন দিলে এমন ধাঁ-ধাঁ?
এই প্রেম, অবিনাশী!
এখন না প্রেম, না ঈশ্বর
নাক অব্দী ডুবিয়ে দিয়েছে-
বিষ সরোবর।