কিছুক্ষন আগে
যে শিশুটি ভুমিষ্ট হলো ফুটপাথে,
সে কারো না কারো আত্মীয়র
ঔরসে জন্ম,
তাকে অমন অযত্ন অবহেলায় ফেলে রেখেছো কেন?
সে তো দেশের একজন মন্ত্রীর পুত্র!


ময়লা কাপড়ে জড়িয়ে রেখেছ যাকে
সে কে, জানো?
তার  জন্মদাতা পেশায় ইঞ্জিনিয়ার.
যে শিশুটি শুশ্রূষার অভাবে;হাসপাতালের
বারান্দায় মরছে ধুকে,
তার বাবা এই হাসপাতালের নামকরা ডাক্তার!
এই ওয়ার্ডেই ঘুরে বেড়ান তিনি,
স্টেথোটাকে খুব গর্বে ঝুলিয়ে বুকে.


আর এ সব শিশুদের মা'কে
লোকে খুব যত্নে ঘৃণায় ডাকে নষ্টা!
ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে
বিক্রি করে গেছে যার প্রেমিক,
কেউ কেউ নিজ পরিবারেই আপনজনদের শিকার,
মাংসভোজী প্রাণী কি না!
এদের মধ্যে কেউ আবার স্বামী কর্তৃক বিতাড়িত,
এক ভোজনের আহার


ঈশ্বরে বিশ্বাস তাদেরও অগাধ!
তারাও মানে,স্বামীর পায়ের নীচে রয়েছে পাতা স্বর্গ, কিন্তু কোথায় তেমন স্বামী?
যার পা ধরে পড়ে থাকতে পারে আমৃত্যু নারী?


এখন ঈশ্বরে বিশ্বাসের ধরণ ওদের পাল্টেছে বিস্তর
আজও বিশ্বাস করে ঈশ্বর একজন আছেন নিয়ন্ত্রক,
যার কল্যাণে কোথাও না কোথাও জোটে আশ্রয়
কোনো না কোনো উপায়ে মেলে খাদ্য,
শুধু বিশ্বাস করতে পারছে না
ধর্মগ্রন্থে মিথ্যা লেখা থাকে কী-না!
মানতে পারছে না- এতো মনভুলানো প্রেমে
গদগদ প্রেমিকের কথাগুলো সব বানোয়াট!
বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে,পুরুষের চোখের জলেও
স্বার্থ ছলনা আর লোভ দ্রবীভূত থাকে


ওই যে দূরে ঝাড়ুদার, সে ও খদ্দের তার
একবার এসেছিলো তার কাছে ভুল পথে,
ভোগ করা হলো না তাকে,
"নারীদেহ মানেই ভোগ",পুরুষ মাত্রই অধিপতি
তা-যে সবার কাছে এক নয়, প্রমান হলো
হেরে গেলো পৌরষের অহমিকা!
আজও বেঁচে আছেন সেখানে,তার আশ্রমে
অনেক মেয়ে,মা;শ্রদ্ধা পেয়ে
অথচ ওই ঝাড়ুদারটির মতো অমন
সুদর্শণ সুপুরুষ; মহান মানুষ
ওই তল্লাটে একজনই আছে!