যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধ করবার ইচ্ছেতে ঈশ্বর নেই,
এমনকি মানুষের মনে জেগে ওঠা হিংস্রতা, আত্মম্ভরিতা
জিঘাংসা ও হিংসেতে ঈশ্বর ধারে কাছেও থাকেন না!
সেবায়, ভালোবাসায়, সমবেদনা ও সমব্যথী মনের ইচ্ছেতে
ঈশ্বর মানুষের মনে আসেন, তুমি তাই তখন সুন্দর হয়ে ওঠো
যেখানে মানুষের জন্য অকল্যাণ থাকে, যন্ত্রণার বার্তা থাকে সেখানে ঈশ্বর থাকেন না।
যতক্ষন যুদ্ধ চলে, চলে ধ্বংস যজ্ঞে মেজাজ ক্রুদ্ধ!
ঈর্ষা, হানাহানি, ক্ষমতা আর অহংকারে মদমত্ত।
যেখানে চড়াও হয়ে ওঠে; মানবীয় অপেক্ষা দানবীয় রুপ
সে অমানুষ তখন নিজের ভেতরকার ঈশ্বরকে ঘুমে রেখে
যুদ্ধের উন্মত্ততায় নারকীয়তায় মাতে।
ভালোবেসে সন্ধি করাতে; ঈশ্বর মানুষের পাশে থাকেন।
যুদ্ধে যারা মানবতার সেবায় এগিয়ে আসেন,
ঈশ্বর তাদের অন্তরে জেগে ওঠেন।


যে আঘাতে কোন মানুষের যন্ত্রণা হয়, মৃত্যু হয়, রক্তপাত হয়;
সে আঘাতকারীর মনে কোনভাবেই ঈশ্বর উপস্থিত হোন না!
ঈশ্বরকে এড়িয়ে; মানুষ তখন দানবীয় রুপে রক্তপাত ঘটায়,
মানুষ থেকে হয়ে ওঠে মনুষত্ত বিবর্জিত অমানুষ।


তোমার ইচ্ছের নিয়ন্ত্রনেই তুমি ঈশ্বরকে কাছে পেতে পারো
অথবা দূরে যেতে পারো।
যুদ্ধ বাধাবে? না-কী শান্তির, সংহতির,
মিমাংসা ও সন্ধির পথে যাবে? সিদ্ধান্ত তোমার!
তোমার ইচ্ছে বলেই তুমি ঈশ্বর
আবার এই তুমিই; ইচ্ছের নারকীয়তায় নাশকতায় শয়তান।


যেখানে মানুষের মন আহত, দেহ ক্ষত বিক্ষত!
সেখানে ঈশ্বর  উপস্থিত থাকেন কী করে?
কোন পুণ্যবান ব্যাক্তির পক্ষেও তো সেখানে থাকা অসম্ভব!
যতক্ষন না মন হয়ে ওঠে শান্তিকামী, আপোষকামী, নম্র
কল্যাণে বিনয়ী, সমর্পিত!
ততক্ষন ঈশ্বর তোমার মনে বসবাসের পরিবেশ হয়ে ওঠে না!


এসো হে মনুষত্ত, তুমি মনে এসো!
মনের নিয়ন্ত্রণে এসো শুভ ইচ্ছের পথ করি।
মনেতে শুভ ইচ্ছের সুচনায়;
ঈশ্বরকে নিজের সাথে করে স্থায়ী।