সেই সত্য আজ স মুখে সম্মুখীন,
যা সরে গেলে অসহায় অস্তিত্ব;
অনুভূতি জগৎ ভিত্তিহীন


আমরা জানি না;
সময় আমাদের চেনে কী-না,
অথচ আমরা কত সময় সচেতন!
ভাবো সেই দরবেশ র কথা,
কী ভীষণ সময় অজ্ঞ, উদাসীন!
যে পথ ধরে হেঁটে যায় পথিক প্রতিদিনকার,  
সে পথিক ও পথের কাছে রয়  অর্বাচীন.
পদ স্পর্শ পেয়েও পথ চেনে না পথিক কেমন,
পথিক ও চেনে না পথ.
সাধ্যানুযায়ী চেনা পথে হেঁটে;গন্তব্যে পৌঁছুতে
পথ পথিকের চেনা হতো
পথিক কে জানা হতো পথের.
ত্রস্ত পায়ে হেঁটে যাওয়া পায়ের ঘাম,
শীতের শিশিরে ভেজা পথের সিঁথি পেতো
শ্রোণি আরাম


আমরা কে কার,কতটুকুন চিনি
একে অন্য কে?
শুধু সময় বয়ে যায় . . .
চলে তার আপন গতি তে.
যে চেনে; সে অস্পর্শেই চেনে,
যে পায়; অস্পর্শেই পায়
শুধু আমাদের হিসেবে-
পাওয়া মানে কাম,
বিত্ত বৈভবে আয়েশ,
ক্ষুধা নিবৃত্তি র জৈব,
রসের সুধা- রাম


সংখ্যা র হিসেব ভুলে গিয়ে
অগুন্তি ধুলিকণাসম নিজেকে চিনো
সানুনাসিক বাতাসে ভর করে
বেঁচে থাকার মতো বেঁচে থাকো!
যা কিছু প্রিয় তোমার, তা-ই তুমি
সত্যকে আড়ালে রেখে কেন মিথ্যের প্রসার?
তারা ময় আকাশে আলোর ঝলকানি দেখো!
সব অস্থায়ী,সাময়িক


না এসে ও যে আসে, না গিয়ে ও যে যায় অনায়াসে
তাকে এড়াবে কী করে?
প্রেম সুন্দর! সত্য, নিভৃত
এভাবে সুন্দ রে ডুবসাঁতার নকশি কাঁথা গড়ে
পেরিয়ে যাও আয়ু র সুতো,
সুতো ফুরলে ই সুচ খুলে নিতে হবে,
অতঃপর পড়ে রবে ফাঁকা! শূন্যের শূন্যতা