সামনের ডায়েরীটা হাতে প্রতিজ্ঞা-
পরিসমাপ্তি টানার,
পাতার পর পাতা উল্টে মেলেনি-
একটাও কবিতা,
তাহলে কী হারিয়ে গেছে?না-কী ছিলো না আদৌ?
প্রশ্নের পর প্রশ্ন শেষে,জবাব আসে নিঃশব্দে
ভাষাহীন,অক্ষর কালি বিহীন।


নৈশব্দই যদি বলে যায় সব, পৌঁছে যায় নিরবে
যদি কারো সত্য
তবে আর ভাষা কেনো? বর্ণ দিয়ে প্রকাশ
এ তবে কিসের?
মিথ্যেকে সত্য বলে বুঝি সাজানো?


অতীত হাতড়ে খুঁজে ফেরে অনেকেই কী যেন!
আমি দেখি শুধু ঘটমান বর্তমান,
এর আগে যা ছিলো তা হয়তো খুব ভালো,
তবে তা আমার জন্য ছিলো না
সামনে যা ভবিষ্যত,তার কিছুই হয়তোবা
নয় অপেক্ষমাণ
শ্রমজীবী মানুষদের অতীত থাকতে নেই,
ভাবতে নেই ভবিষ্যত,
ইট পাথরের স্তূপে আটকে যায়-;
মননে গেঁথে রাখা প্রিয় অনুভব,অনুভূতির কলরব।
অক্লান্ত শ্রম শেষে জুটবে পেটে আহার,
নিজের প্রশ্বাস বায়ুটুকুনও টানতে হবে নিজেকেই,
কে ভালবাসে;কি না বাসে;তা-তে
জীবন যেমন থেমে থাকে না,মৃত্যুও আটকায় না।


সীমানার বাইরের হাতছানিতে ভুল করা মন,
বড্ড বেমানান!
পৃথিবীতে জোটে না যাদের অত্যাবশ্যক,
বাড়তি জুটবে,এমন মিথ্যে স্বপ্নওবা আর দেখা কেনো?
স্বপ্ন দেখতে বারণ।


স্বপ্ন মিথ্যে বলেই আর সব মিথ্যের মত স্বপ্ন সুন্দর।
মিথ্যের মোড়কে হাসতে জানি না বলেই
আজও এ হাসি মেকি নয়।
অমলিন হাসির জন্য চাই-স্বপ্নহীন মন,
যা কী-না কষ্টকে যেচে ডেকে আনে না,
জানে- কষ্ট ই তার জীবন।
সত্যের কড়া নাড়া শুনবার অপেক্ষায়-
কেটে যায়- দুঃসহ প্রহর...