চারদিকে মজলিসের নারী পুরুষ আবাল বৃদ্ধ বনিতা,
মাঝে হাত পা বাঁধা রক্তাক্ত নারী,
যার চোখে উপছে পড়ছে ঘৃণা,
নেই কোন ভণিতা।
বিচার হবে আজ তার, সে করেছে অনেক বড় গুনাহ।
“শালি একটা কসাই!
কে?কে?
আরে, জব্বারের বৌ মিনা!”
ঘামে ভেঁজা মুখে ছড়িয়ে আছে উঁসখো খুঁসকো চুল,
কিছু নারী পুরুষ বলাবলি করছে,
“না বুইঝা করছে না হয় একটু ভুল।“
লেপ্টে আছে রক্ত ঠোঁটে দাঁতে,
কোমরে শিকল বাঁধা, পালাতে পারেনা যাতে।
বিচার হবে আজ তার, করেছে অনেক বড় গুনাহ,
সে হলো জব্বারের বউ মিনা।


জব্বারের বৌ, কামটা কি তুমি করলা ঠিক?
এই পোলাতো এহন বাকি জীবন খাইবো মাইঙ্গা ভিক।
জব্বার গেছে কামের খোঁজে উজানে,
এহন যে তুমি কষ্টে আছ এইটাতো গেরামের হগলতে জানে।
ভুল কইরা ও না হয় গেছিলো তোমার ঘর,
তাই বইলা! এইটা কি করলা? আমরা কি তোমার পর?
মাতবর সাব, এই সব কি কন ঠিক বেঠিক?
মাগিরে আগুনে ফালায়া করেন আঙ্গার।
-ওয়াক থু! হারামির বাচ্চা হারামি, কুলাঙ্গার।
দেহ দেহ মাগির এহনও কি তেজ,
ওই কাদিরা কি করলি তুই গিয়া।
হুজুর একটুর লাইগা পারি নাই,
চাইছিলাম কাইলকা রাইতে শখ মিটামু ওরে দিয়া।
-হিহিহিহি, বাইচা গেলি, কোপটা ঠিকমত লাগে নাই হারামি,
নাইলে এহন তোর ঐটা কুত্তায় খাইতো,
রাস্তায় চিল্যায়া কইতি, যামুনা আর আমি।
ওই তোরা খাড়ায়া আছস, জাইত্তা ধর ওরে,
আগুন লাগায়া দে ওর ঘরে।
ন্যাঁড়া কইরা মুখে লাগা চুন কালি,
এহনও আমাগোরে চিনে নাই শালি।
মরদ বেডার গায়ে হাত, কত বড় গুনাহ,
তোর আবার কিসের ইজ্জত, তুইতো মামুলি জব্বারের বৌ মিনা।


না, আমি চিনি না, কে এই জব্বারের বউ মিনা,
কিন্তু তার থুতুতে ছিলো বিষাক্ত সাপের গদ,
তার হাসিতে ছিলো বিজয়ী প্রতিরোধ কারির উল্ল্যাস,
কারন, শত্রু পক্ষকে সে করেছে বধ।