চাঁদের বুড়ি,
খুব সাবধানে নাকফুল খুলিও,
নাকফুল'টা খোলার সময়;
আমার চুমু'টাও খুলে নিও!
যেটা প্রথম দিনে দিয়েছিলাম!


বুড়ি তুমি আয়নায় তাকিও
কপালে কালো টিপ দিও,
চুল গুলো খোঁপায় গুজে রেখ!
ঠোঁটে কিছু দিওনা!
গোলাপি রঙটা মুছে যাবে!
আলতো করে মাথা নাড়িয়ে,
চোখ বন্ধ করে খুঁজিও আমায়!
যেখানেই থাকি বা যতদূর!  
তোমার চেহারার যেন;
চোখ বুঝলে দেখতে পাই।


চাঁদের বুড়ি,
তোমার চোখ আমায়
প্রশান্তি দেয়, শান্তি দেয়!
তোমার নিঃশব্দ চোখ!
নীরব ঘাতক!
ঠান্ডা মাথার খুনী!
শিকারী চোখ!
কখন যে আমায়;
তিলেতিলে মেরে যায়!
আমি টের-ই পাইনা।


চাঁদের বুড়ি,
মন খোঁজার চেয়ে
দেহ খোঁজা ভালো!
মনের রাস্তায় যত কষ্ট অস্থিরতা,  
দেহের রাস্তায় তত নাই!
এটা আমার কথা নয়
চরিত্রহীন লম্পটদের কথা।


বুড়ি,
আমি বলি দেহ মানে তুচ্ছ
লবণাক্ত লোণা শরীর;
ছাড়া আর কিচ্ছু না!
আজ আছে, কাল নেই!
তার চেয়ে মন খুঁজো
মনে কোন লবণ নেই,
নেই কোন মেদ, চর্বি
মন চিরস্থায়ী অবিনশ্বর;
মন মৃত বা শেষ হবার নয়।


চাঁদের বুড়ি,
সুখে থাকা আর সুখি হওয়া,
এই দু'য়ের মাঝেও তফাৎ আছে
ভাবলে বিশাল পার্থক্য,
না ভাবলে ছোট্ট ক্ষুদ্রাকায়;
খুব কষ্টকর একটা পার্থক্য!
প্রার্থক্য টা খুবই সাধারণ
কিন্তু সূক্ষ্মতা চুলের মতো!
সময় হলে তফাৎ বুঝি
নতুবা ধরে, বেঁধে, ও আটকে;
কাউকে বুঝানো সম্ভব নয়।


চাঁদের বুড়ি,
তুমি দেখছ আমাকে!
ভাবছ আমি আসলে মানুষ নই!
হুম! আমি আস্ত মেঘ চোর!
আমি জগতের ভয়ে,
লোক সমাজের ভয়ে,
পাড়া প্রতিবেশীর ভয়ে,
তোমার নিকট ছিচকা চোরের মত;
তোমার আকাশে উড়ি!
লুকিয়ে লুকিয়ে আসা যাওয়া করি!


চাঁদের বুড়ি,    
আমরা একজন আরেকজনকে;
রোজ রোজ জ্বালাই
তুমি আমায় জ্বালাও;
আমি তোমাকে!
জ্বালাতে জ্বালাতে
যেদিন খুঁজে পাইনা,
মনে হয় নিজেরেই আমি পাই না;
আজকাল ইদানীং৷


চাঁদের বুড়ি,  
শুধু প্রেম দিলেই হবেনা!
প্রেমের দরকার নেই;
যদি মনে মায়া না থাকে!
মায়ার দরকার, অগাধ মায়া!
যে মায়া দুনিয়ার;
এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে  
টেনে ছিঁড়ে নিয়ে গেলেও;
শেষ হবার নয়।