এতবড় পৃথিবী! শতশতবছর! শতশত মানুষ!
একটা কোল খালি পাইনি! একটা বুক খালি পাইনি!
কাউকে বলতে পারিনি আমাকে একটু জড়িয়ে নাও,
আমাকে একটু বুকে চেপে ধরো, আমি বড্ড ক্লান্ত!
তোমরা আমাকে ভালবাসো, আমাকে কাছে ডাকো,
আমার জন্য অপেক্ষা করো, আমায় সাথে নাও।


তোমরা স্বপ্নকে স্বপ্ন ভাবো, বাস্তবকে বাস্তব!
আমি স্বপ্নেকে বাস্তব ভাবি, বাস্তবকে কল্পনা!
আমি শত শতাব্দী এবাড়ি, ও-বাড়ি ঘুরাঘুরি করি!
তোমরা সবাই আমাকে চেনো, সবাই আমাকে জানো!তোমাদের জন্য চোখের জলে বুক ভাসিয়ে দিয়েছি;
তবুও কারো চোখ থেকে আমার জন্য একফোঁটা জল গড়িয়ে পরেনি।


তোমরা তাড়িয়ে দিয়েছো আমায়, কি জানি কি ভেবে!
হয়তো ভেবেছো আমায়, আমি কালো কুচকুচে দাঁড়কাক।
কি যন্ত্রণা দিয়েছি তোমাদের মনের টিনের চালে বসে;
সারাদিন কা..কা...কা! করে বুঝাতে চেয়েছি,
আমার ভাত লাগবেনা, আমাকে এক মুঠো প্রেম দাও!
একটা মুঠো ভালবাসা দাও!
তোমরা কি গরীব? তোমাদের ঘরে একফোঁটা প্রেম নেই?
এক চিমটি ভালবাসার জল না দিয়ে উল্টো আমায়,
লাঠি দ্বারা তাড়িয়ে দিলে, মরার কাউয়া;
মরার কাউয়া! বলে।


অথচ আমি তোমাদের কিছু ভোর দিতে এসেছিলাম,
তোমরা আমাকে একটা সকাল সূর্য দিবে বলে!
আমায় সকাল, বিকেল, দুপুর কোনটাই দাওনি,
আমাকে একা দাঁড় করিয়ে রেখেছো আমাবস্যার রাতে।
তেমাদের আমি কত রাত মায়ায় চাদরে মুড়িয়ে রেখেছি,
এক চিমটি ভালবাসা দিবে বলে!
কত মানুষ প্রেম দিবে দিবে বলে কথা দিলে,
আমায় সঙ্গে নিবে নিবে বলে দাঁড় করিয়ে রেখেছো;
আমার ভালবাসাকে তোমরা ঝুলিয়ে রেখেছো,
তোমাদের ঠোঁটের নড়বড়ে ; ঝুলন্ত বারান্দায়,
হ্যাঁ আমি পাশে আছি এই ছোট্ট কথাটি বলবে বলে।


জীবন আধারে, আবছা আলোয় তোমাদের ;
ভালবাসতে চেয়েছি, মন ছুঁতে চেয়েছি,
হাত ছুঁতে চেয়েছি, চোখে চোখ রাখতে চেয়েছি;
মনের আবছা আলোর ছায়ায় মিশে!
তোমরা আমাকে দেখে অবাক হয়েছো,
বিচলিত হয়েছো, বিরক্ত হয়েছো,
তবুও আমি দেখেছি তোমাদের চোখে মুখে ;
পানির মতো স্বচ্ছ চিকচিক ভালবাসার বালিকণা,
আমার হিংসা হয় তোমারা সবাই কি সুন্দর দেখতে।