সবে ছেলে চাকরি পেল, তিন দিনেই শেষ
বাবার কাঁধে দুইটি পোড়া, মেয়ের অনিঃশেষ!
সদ্য পাসের সাংবাদিকের, জীবন ভেলা কই
বুয়েট নাহিয়ান লালিমার,স্বপ্ন ভীষণ ওই।


অপর পাশে স্বামীর ফোনে, আর্তনাদের হাঁক
জ্বলে পুড়ে ছাই হলো সব, স্বামী যে নির্বাক !
কোলের শিশু মায়ায় ভরা, হাসিমাখা মুখ
কে জানিতো এমন মরণ, বাবার কঠিন দুখ।


দগ্ধ হয়ে চলে গেলেন, ভীকারুনের ম্যাম
মেয়ে সহযাত্রি হলেন বুক ভরা তার প্রেম!
সহকর্মীর  মেয়েটাও জগৎ মায়া ছিঁড়ে
কত মানুষ হারায় দেখি, অমানুষের ভিড়ে।


ইতালির ওই প্রবাস ছেড়ে, এলেন যিনি কাল
ফিরবে কদিন পরে সবাই, একি হলো হাল !
তালাবব্ধ পরিবারের, কে আর নিবে খোঁজ
রঙিন রাঙা রসনা ঘরে, শেষ বিদায়ের ভোজ।


অজ্ঞাত যে কত মানুষ পুড়ে হলো ছাই
এতকিছু হিসাব করার, সময় এখন নাই,
বার্নউইনিটে কতজনার, জীবন গেল থেমে
অজানাই রয়ে যাবে ডিজিটালের জ্যামে।


সবার ২৮ ফেব্রুয়ারী , উনত্রিশে কেন এলো?
জ্বলে পুড়ে ছাই করে সব, স্বপ্ন এলোমেলো!
পোড়া লাশের গন্ধে বাতাস, ভারি হয়ে আসে
কত মনের রন্ধ্রে শুধুই, অশ্রু সজল ভাসে।


উনত্রিশে হতাম যদি, আমি পোড়া লাশ !
সাদা কাফন হতাম আমি, পরিবার হতাশ,
সুখের জীবন ; মায়া ছেড়ে, যাব আমি চলে
সবাই যেন ক্ষমা করে, আমার মরণ হলে!