সে এক পুরুষ, নীরব জল—চোখে যার নেই প্রপাত,
অন্তরে বহে বেদনার ঢল, বাহিরে শুধু দায়িত্বের হাট।
তার হাসি এক বিদ্ধ বিষাদ, তার শ্বাসে চাপা ক্রন্দন,
সে জ্বলেও নিভে না, বুকে বাঁধে দিনের পর দিন চন্দন।
সে চলে, পায়ে ব্যথা, তবু থামে না একটুও ক্লান্ত,
ঘামে গড়া তার উপাখ্যান, ভাঙে না সে—হোক শত দুরন্ত।
তার শখ পুড়ে যায় ধীরে, সংসারের আগুনে জ্বলে,
তবু সে দেয় আলো, তারে জিজ্ঞাসে না কেউ কেমন চলেছে চলে।
সে এক পুরুষ—সময়ের পাষাণ, ইতিহাসের নিঃশব্দ ধ্বনি,
দোষ হলে চিহ্ন তার, আর সাফল্য কারো অগণি।
সে দেয়, সে গড়ে, সে জাগে, সে জোড়ায় ভাঙা রাত,
তবু তারই নামে ওঠে অভিযোগের অন্ধ কথার ঘাট।
সে কি চায় না ভালোবাসা? সে কি চায় না একটু ছায়া?
তবু বলে না কিছু—তার ভাষা কেবল দায়ের মায়া।
পুরুষ সে, তাই বুঝি, ব্যথাও তার অলিখিত রীতি,
সে এক জ্যোতিষ্ক—আলোক দেয়, হারায় নিজের দিক-দৃষ্টি।