নির্বাচনী প্রার্থীদের কেন্দ্রীয় তিন গুণ!
তিনে তিন—নিয়মিত হ্যাটট্রিক!

ত্যাগ ও সংগ্রাম:
ছোটবেলায় হয়ত ত্যাগ খেয়ে বড় হয়েছেন,
তাই এখন টেন্ডারে ত্যাগ, প্লটে সংগ্রাম!
গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আনতে নিজের ‘ব্যবসা’ তিন গুণ করেছেন — আহা, কত কষ্ট, কত ত্যাগ !

সততা ও সুনাম:
সততার এমন মানদণ্ড যে,
মহল্লার লোকজন ঘুষ দিলে আগে ওনাকে জিজ্ঞেস করে—
“স্যার, আপনি নেবেন না তো? নিলে আমরাও নেই!”
সুনামের এতই বহর, আদালতে নাম উঠলে সবাই দাঁড়িয়ে সালাম দেয়!

জনপ্রিয়তা:
এতই জনপ্রিয়তা বিবাহ ছাড়াই স্বঘোষিত মেয়ের বাপ।
ভোট চাইতে যান না, লোকজন নিজেরাই এসে ভোট দিয়ে যায়
ভয়ে, অথবা চায়ের কাপের বিনিময়ে!
গরীব এতটাই ভালোবাসে, তারা নিজের ভোটও ঋণ রাখে উনার কাছে!

সবাই-ই সাধু! সবাই-ই জনগণের প্রাণ!
তাহলে প্রশ্ন আসে,
সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখল, মাদক, খুনখারাবি
এসব করে কে?
দেশে কি তবে এগুলো সব জিনেরা করে?
জিনেরাই তো খাস জমি দখল করে,
ওরাই ঠিকাদার হয়ে স্কুল ভবন না বানিয়ে বিল তোলে
ওরাই রডের বদলে বাশ দিয়ে ভবন বানায়,
ওরাই রাস্তা না করেই উদ্বোধন করে!
খুন করে, মিথ্যা মামলা দেয়, লাশ গুম করে
সবই তো অদৃশ্য শক্তির কাজ!

অথচ পর্দায় দেখি নেতারা কেবল মাটি কাটেন আর ফিতা কাটেন
পিছনে কারা কাটাকাটি করে,
জানি না… হয়তো ভূতেরা।

তাহলে কি আসলে জনগণই বোকা?
যারা প্রতি পাঁচ বছর পরপর সেই ‘সাধুদের’ বেছে নেয়,
আর নিজের সন্তানের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে নেতার সন্তানের ভবিষ্যত উজ্জ্বল করে বিদেশে।
এই জনগনদেরও কি জিনে ভর করে?