আমরা সবাই কাব্য লিখি
মহান মহান কাব্যকার।
কেমন করে সৃষ্টি হল
কেমন ছিল উৎস তার ?
কেও জানো কি সত্যি করে
কেমনে এলো কাব্যরস
একশ দুশো হাজার রেখে
বলতে পারো এমন দশ ?
সত্যি কেবল আমি জানি
ভু-ভারতে একমাত্র
বিশ্বজোড়া শুধু কেবল
আদি জানা এইপাত্র।
আজকে তবে বলি শোন
সে কাহিনীর প্রেক্ষাপট
এই কাহিনীর দুই পাত্র
প্রতাপ এবং বৃক্ষ বট।
এবার সবাই চুপ করে যাও
শুরু করবে সূত্রধার
বহু পুরানো আগের কথা
বঙ্গভূমে গঙ্গা পাড় -
বাস করতেন বিত্তশালী
ভাবুক মনের প্রতাপ রাজ।
খাদ্য ঘুম আর ভাবনা ছাড়া
আর ছিলনা কোনই কাজ।
এমন কিছু করতে হবে
বুদ্ধি আর প্রেমিক মন
লক্ষ লক্ষ বছর পরে
নাম করবে প্রতিজন।
এমন করে দিন কেটে যায়
রাত কেটে যায় বছরভোর
কোনও কিছুই পায়না খুঁজে
ছুপ থেকে যায় অন্তর।
এমনি এক মেঘলা দিনে
প্রতাপ রাজার দুঃখী মন
কিছুই যখন পারলাম না
বৃথাই রাখা এই জীবন।
এই ভেবে সে মনের দুখে
বাহির হল ঘর থেকে
জঙ্গলে সে হারিয়ে গেল
থমকে গেল গাছ দেখে।
"এ আবার কি তরু
দাড়ির মত জট ভরা
এমন তরো গাছও আছে
এতো সুন্দর এই ধরা ?
শখ হল তার চরবো জটে
দুলবো আমি মনসুখি
ভুলিয়ে দেবো জগৎটাকে
ভুলিয়ে দেবো সব দুঃখী।
প্রতাপ রাজা বসলো জটে
দুলতে লাগে খুব ধীরে
হঠাৎ করে বটের রাশি
গেলী আবার সেই ছিঁড়ে।
প্রতাপ রাজা ভুপতিত
ভিসম মনে জাগলও ভয়
ব্যাথার জ্বালায় রাজার মনে
কাব্যরসের উদয় হয়।


" হতভাগা বট
ছিঁড়ে দিলি জট
ব্যাথা বেদনায়
জীবন যে যায়
হাত ভেঙ্গে যায়
পা ভেঙ্গে যায়
কি করি এখন"
আমি হায় হায় "।।


এই ভাবেই শুরু হল
কাব্যের প্রচলন
এর পড়ে এলো কত
কাব্যের প্রয়োজন।
সুখ দুঃখ ভালোবাসা
এলো কতও কাব্যে
সব কিছু চলে যাক
কাব্যটা থাকবে।