অযুত শতক ধরে হাঁটতে হাঁটতে অনুভূতির অভিকর্ষ  ধরে


নৈঃশব্দে এসেছি বারে বারে, ফিরে ফিরে


সৃষ্টি হব বলে! সাহস হব বলে! একা আমারই প্রত্যাশায়


ইতিহাস স্বপ্ন দেখে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ভালোবাসায়


স্মৃতি-বিস্মৃতির নীরব মিছিলে দুঃখ-সুখে স্নেহ, ঘৃণা


করুণা-রুদ্ররূপে অনুক্ষণ করেছি আনাগোনা


কখনো হয়েছি শোক... কখনো শান্তি আমি, আমিই যুদ্ধ


কখনো হয়েছি বিপ্লবের বিস্ফোরণ অবরুদ্ধ!


স্রোতের প্রতিকূলে ইচ্ছের ধ্বংসাবশেষ মেখে


ব্যর্থতার প্রলেপে, বিষাদের অবসন্ন আবেগে


কবির কলমে ফুটেছি কবিতা হয়ে... হতে পারি আমি হয়তো শূন্যতা


হতে পারে হয়তো সে পূর্ণতা...


তবু আমি নক্ষত্রের আয়ুরেখা ধরে ইশ্বরের সন্ধানে


জয় করেছি ব্রহ্মান্ডকে অনন্ত প্রজ্ঞার বন্ধনে!


অনির্বাণ ধুমকেতুর বিষণ্ন আবেগে!


আমারই সাথে রয়েছে এ ক্ষয়তৃষ্ণা অবিরত জেগে


তবুও দিই সাড়া তাকে আলোকবর্ষ-বর্ষে


ক্লান্ত লতানো পৃথিবী যেই ডাকে তার আকর্ষে


আমার উদ্ভবই স্বরলিপি হতে তার!


আর তোমরা! শুধু এই ঘোষণার দিও আমাকে অধিকার


এটুকু করে যেও অঙ্গীকার, করে যেও উচ্চারণ ধ্বনিতে আমার


আমরা রক্তে-মাংসে-শিরায় মানুষ! নই অন্ধকার


নই জন্ম, নই মৃত্যু... নই অসম্পূর্ণ, আংশিক, স্থানিক


আমিও এ অসীমত্বের  চিরজীবী নাগরিক!