খুড়ো বেজায় খুশি পেয়েছে নেমন্তন্ন,
কব্জি ডুবিয়ে খাবে মাংস ভাজা অন্ন।
ইস্ত্রি করিয়ে আনে ধুতি আর পাঞ্জাবি,
জুতো পালিশ হলো,রং হলো জুলফি।
অবশেষে আসিল সেই প্রতীক্ষিত রাত,
সেজেগুজে খুড়ো চলেন খুড়ি তার সাথ।
কর্তা ছুটে এসে আলিঙ্গনে জড়ালেন,
কফি আর স্ন্যাকসে খুড়ি খুব মজলেন।
রঙিন পর্দা ঢাকা টেবিল আর চেয়ারে,
খুড়ো-খুড়ি বসলেন জাঁকিয়ে আহারে।
মেনু কার্ড হাতে নিয়ে চকচকে চোখেতে,
পকেট থেকে চশমা রাখেন নাকেতে।
মেনু কার্ড পড়ে খুড়োর চোখ ওঠে কপালে,
চেঁচান সজোরে স্থান কাল পাত্র ভুলে।
ছুটে আসেন গৃহকর্তা,আত্মীয় স্বজন,
জোড়হাতে মিনতি করিতে ভোজন।
অগ্নিশর্মা খুড়ো ক'ন,"একি রসিকতা!
নেমতন্ন বাড়িতে কিনা সব্জি আলুভর্তা!
মাংস ছাড়া বাঙালি কব্জি ডুবিয়ে খাবে,
একথা ভাবাও পাপ,মহাপাতক হবে!"
কর্তা ক'ন,"দোষ নেবেন না দাদা,
শাকের দশ পদ,সুক্তোতে দিয়েছি আদা।
আর আছে নামিদামি বিভিন্ন তরকারি,
সাথে পেঁয়াজ ফ্রি-ভীষণ দরকারী।"
মুচকি হেসে খুড়ি ক'ন,"মাংস ছাড়া নেমতন্ন-
এ ব্যবস্থা অতি জঘন্য!"
কাঁচুমাচু মুখে কর্তা বলেন, "জানি দিদি,
নেমতন্ন বাড়িতে সুখ নেই হৃদি।
শাক-সবজী দিয়ে হয়না অনুষ্ঠান,
অতিথিদের বোঝাতে ওষ্ঠাগত প্রাণ।
পশুপ্রেমীরা মাংসের অন্তরায়,
ঐ দেখুন কেমন বসেছে ধর্ণায়।"
দুঃখী মনে খুড়ো-খুড়ি মন দেন ভোজনে,
'শাক-সব্জির' হলো জয় আজকের অনুষ্ঠানে।