বাগানের কোণে নাম না জানা গোত্রহীন
এক ফুলের মাঝে বসেছিল একটা ছোট্ট প্রজাপতি।
নানান রং-বেরং এর ডানার মধ্যে
হলুদ ছটা বিশেষভাবে জানান দিচ্ছিল,
আমায় দে’খ-আমি হলুদ প্রজাপতি।


এই বাগানে আজ তার প্রথম আগমণ,
তাই সে এখানকার অলিখিত নিয়মকানুন
কিছুই জানে না।জানে না এখানকার আদবকায়দাও।
ছোট্ট দু’টি চোখে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে মনের উল্লাসে
মুক্ত স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করছিল।


হঠাৎ তার স্বপ্নের রশিতে টান পড়লো,
চুরমার হ’ল তার স্বাধীনতা।
বাগানে একদল হিংস্র মানুষের হাতে
কর্পূরের মতো উবে গেল তার স্বাধীনতা।
অজানা আশঙ্কায় কাঁপতে কাঁপতে জানতে
চাইলো তার অপরাধ।বজ্রকন্ঠে অট্টহাসির
সাথে শুনতে পেল:বিধাতার দেওয়া এত
রূপই তার অপরাধ!


হিংস্র,নিষ্ঠুর,লোভী মনের কামনা মেটাতে
শেষ পর্যন্ত তাকে তার জীবন উপহার দিতে
হ’ল জীবের শ্রেষ্ঠ জীব মানুষকে!
মানুষের ভেকধারী উন্মত্ত জানোয়ারগুলো
পৈশাচিক উন্মত্ততায় টুকরো টুকরো করে
ফেললো তার দেহ। না-
কেউ শোনেনি তার করুন আর্তনাদ,পিশাচগুলোর
পৈচাশিক চিৎকারে তলিয়ে গেছে তার করুণ আর্তি।