জীবন যাপন পথের ধারে, ওদের ইচ্ছে খুব সীমিত,
দিন কেটে যায় অর্ধাহারে, রাতের স্বপ্ন নির্বাসিত,
সবার যখন খুশির আবেশ উৎসবে প্রান আত্মহারা
ওদের বদল ঘটে না বিশেষ ওদের জগত ছন্নছাড়া l
সবার পরনে পোশাক রঙিন দশটা পাঁচটা মন্দ ভালো
ওদের জুটেছে সঙ্গতিহীন ল্যাম্পপোষ্টের নিয়ন আলো,
ওদের রাত্রি পর্দাবন্দি উলঙ্গ হয় শয্যাপাশে
ওদের বাঁচার প্রতিটি সন্ধি স্রেফ পরিনত জীবিত লাশে l
সম্বৎসর তুমি আসো যাও রাজার হালে দুলকি চালে
অভাব ওদের কুঁড়ে কুঁড়ে খায় লোকচক্ষুর অন্তরালে l


দিলাম তোমায় ওদের চিঠি একত্রিত একটি খামে
কালির বদলে চোখের জল আর দরিদ্রদের দেহের ঘামে
কে দিল তোমার মৃন্ময়ী রুপ? নষ্ট মেয়ের ঘরের মাটি
কেই বা সাজালো দুহাতে অর্ঘ্য,পূজার বাদ্য ঢাকের কাঠি,
তুমি না তাদের জগজ্জননী,আরাধ্যা দেবী হে শঙ্করী !
তবে কেন আজ অসংখ্য ঘরে দুবেলা চড়ে না ভাতের হাঁড়ি
জাঁকজমকের পূজামণ্ডপে দেখলে কেবল বিত্তশালী ?
মন্ডপ পিছে তাকাও,দেখবে আধারে জুটেছে কত কাঙালী
তুমি যদি হও সত্যি জননী দুর্গতদের অন্ন দাও,
পাষাণ প্রতিমা নিষ্প্রয়োজন,পারলে তাদের পাশে দাঁড়াও l