কবিতা,
এ খসড়া যখন লিখছি,তখন হাতে কাগজ কলম আকাশকুসুম কল্পনা মাত্র,তাই পাণ্ডুলিপি হাওয়ায় ভাসালাম,
যখন এলাম পৃথিবীর শ্রেণীকক্ষে
মাথায় সবুজ বিপ্লবের আশীর্বাদ আর কালো দীর্ঘশ্বাস,
যে মাটিতে দাঁড়িয়ে,তা সত্যিই কেমন আছে
জানার তাগিদ জাগল মনে
এখন লাট্টুর মতো ঘুরে চলেছি
এ,বি পেরিয়ে সি সেক্সনে থমকে দাঁড়িয়েছি
লাস্টবেঞ্চে উপচে পড়ছে ভীড়
প্রতিশ্রুতিরা কোনো অজানা কারণে এখানে পৌছয়নি l


কবিতা,
আমার অন্তঃস্বত্ত্বাকে ক্রমাগত ডিসটার্ব করে চলেছে কৃষকের অসহনীয় দুরবস্থা,আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার মলিন মুখগুলো
বেশ অনুভব করছি,
গড্ডালিকা প্রবাহে ভেসে চলা গনতন্ত্রে পাক জমেছে
প্রয়োজন নেমে পরিষ্কার করার,খোলনলচে বদলে দেবার l
আমার সামনে ডায়নামিক ভবিষ্যত
যাঁরা পারে পার্থক্য গড়ে দিতে
অবস্থা বদলে দিতে l
কিন্তু প্রায়শই শুনি তাঁদের নিরুচ্চারিত প্রশ্ন-"কী রেখে যাবে আমাদের জন্য ?"
দরকার চোখের সামনে ছকভাঙা সময়োপযোগী
একটা চাবুক আদর্শ,
একটা দর্শন যা সময়ের শরীরে গভীর ভাবে রেখাপাত করবে l


তাই প্রেয়সী,
ভাষা দিবসে অলঙ্কার নয়
একবুক হাহাকার দিলাম তোমায়,
সঙ্গে সংকল্প
গরম রক্ত ও কবিতার সহাবস্থান
এক উর্বর নরম মাটির দিশার খোঁজ
যেখানে শিকড় গাড়বে আগামীর সশক্ত মহীরুহ ll