ওরে ও সর্বহারার দল
বল রে তোরাই বল
এমন দেশে কিই বা আছে তোদের জন্যে ছল।।
যা দিয়ে তোরা মুক্ত কুড়বি সিন্ধূপারের নদে
মানুষ চলিছে আজও তাহার ধ্বংসেরি বিপদে
ওরে, তোরা ভীতি দূর করে বল
হাজার সর্বহারার দল
কোনখানে আছে শান্তি সোহাগ অগাধ অশ্রুতল।।
কোথায় এখানে খুজে পাবি তোরা আনন্দ উচ্ছাস
রাত্তির ভরে কেঁদে মরে ফিরে উল্লাস কি তব পাস?
হেথায় সেথায় কেঁদে ফিরে তোরা কই পাবি বন্ধু তারে
জমায়ে রেখেছে অন্য কেউ তা মনি মুক্তোর হারে
মিছে আশা করিস বন্ধু হেলায় ভাসাস ভেলা
সেই নদীর কূল নাই কোনো, দুপারে অশেষ খেলা
তুই তো সর্বহারার দল
কোথায় পাবি বল?।।
ধরিয়া যাদের বেচেঁছিলি তুই অগাধ বাহুডোরে
বাঁধন টুটে গেলো তাহাদেরই অন্ধকারের ঘরে
তোর তো কোনো শক্তি এখন নাই
মনের জোরে বাঁচিয়া আছিস, হৃদয় থেকেও নাই
যাঁরা হইয়াছে ভন্ড তাই তাদের দিকেই ধাই।।
কেই বা করেনা স্বার্থের জয় কেই বা ভুলহিন
জগতের মাঝে করেছে বন্ধু অসময়ে তোরে লীন
কালো আঁধারের যাত্রী তুমি গোটা পথ বয়ে চলো
রক্ত ঝরিয়া আসে, তাও তুমি নিজের মুখেই বলো
এই তো হেথায় পেয়েছিলে তার স্বল্প প্রেমের সুবাস
যাহা হয়ে গেল ছাই বন্ধু, পাইলে শুধুই হতাশ
এই কুড়েঘর অস্থায়ী তবু কতোদিন স্থায়ী থাকে
বন্ধুহারা পথিক, সর্বহারারা হৃদয় বিহীন পাকে
বিদ্রোহ তুমি করে যাও যত আগুন জ্বালো বক্ষে
বেদনার তরবারি দিয়ে কেটে দেব সচক্ষে
ওরে ও সর্বহারার দল
হেথায় এমন পাবিনা সোহাগ, বন্ধনহীন বল
তাও তোরা কিছু বল
অনড় থেকে লড়ে চল ওরে সর্বহারার দল।।
সৃষ্টির তোরা অগ্নিকুসুম শিরদাঁড়া তোরা সমাজের
অসহায়দের বটবৃক্ষ তোরা, মানুষ বড়ো কাজের
তোরা রক্ত ত্রিশূল মহামায়া তোরা মহাভয় পৃথ্বীর
দলে যাস যত বন্ধন তোরা একলা ধরিত্রীর
শ্বাসহারা হয়েও বাঁচিয়ে রাখিস অসংখ্য মানুষেরে
সৃষ্টির তোরা আদি নক্ষত্র ধরণীর তুইই ছেলে।।