তোমার প্রতি একটা অদ্ভুত টান আছে আমার,
সেই কবে থেকে,
যেদিন প্রথম বার দেখেছিলাম।
তোমার চোখের ভাষা বুঝতে চেয়েছিলাম,
তোমার হাসি মুখের আদলে,
আর টোল পড়া গালে,
আমি প্রেমে পড়েছিলাম।


দিন গুলো এক এক করে ক্যালেন্ডারে লাল দাগ ফেলে যাচ্ছিলো,
সেই সাথে আমার ছেলে মানুষি মনে ভালোবাসার নীল ছোপ দানা বেধেছিল ।        
তোমার সরলতা আমাকে মুগ্ধ করেছিল,
তোমার চঞ্চলতা আমার মন কেড়েছিল।
তোমার দুঃখ আমাকে ভাবিয়ে তুলেছিল,
তোমার হাসি আমার হৃদয় উপকূলে ছোট্ট ছোট্ট ঢেউয়ের মত এসে জমাট বেধেছিল।


ভাবিয়ে তুলেছিল দিনের পর দিন,
একটা মেয়ে,
যে কিনা এত কষ্টের মাঝে রোজ হাসে,
হয়তো বা লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদে!
আমার প্রতি তোমার যে মায়া ছিল,
তা আমার চোখে স্বপ্নের জাল বুনেছিল।
আমার প্রতি তোমার যে বিশ্বাস ছিল,
তা আমাকে যুদ্ধ প্রান্তরের সাহস যুগিয়েছিল।


তখনো ভাবিনি আমি,
তখনও বুঝিনি আমি,
যা কিছু দেখছি সবই মায়া।
তোমার যোগানো সাহস,
তোমার চোখের ভাষা,
তোমার মুখের হাসি,
তোমার ওই মমতা,
এভাবে আমাকে ধারালো ছুরির আঘাত দেবে!
বুঝতে পারিনি।
বিশ্বাস করো এক বারের জন্যেও,
বুঝতে পারিনি।  
পায়ের তলায় এভাবে মুড়ে চলে যাবে,
আমার অনুভূতি,
আমার আবেগ,  ​
আমার ভালোবাসা।


আমি যতগুলো দিন এই ধরিত্রীর বুকে,
নিশ্বাস নেব,
তত গুলি দিন,
আমার বুকের ভিতরে হাতুড়ির আঘাত হবে,
তোমার দেওয়া অপমানের আঘাত,
তোমার দেওয়া বিশ্বাস ভঙ্গের আঘাত।


যে পুরুষ কাঁপা কাঁপা পায়ে,
জীবনের প্রথম বার,
কোনো নারীর সামনে গিয়ে,
নিজেকে সপতে চেয়ে ব্যার্থ হয়েছে  ,
জীবনের চরম তম অপমানিত হয়েছে,
সেই পুরুষের হৃদয়,
আর কোনো নারীর জন্যে,
চিরতরের জন্য সাহস হারিয়ে,
তোমারই অনুগ্রহে আজও জীবিত।


তার ছটফট করার শব্দ,
আর কোনো নারীর কানে যাবে না,
আর কোনো চোখের মায়া টানবে না,
আর কোনো ছলনায় মজবে না।


ভালো থেকো তুমি,
ব্যার্থ হয়েছে যে ভালোবাসা,
তার আর নেই প্রয়োজন,
স্মৃতি হয়ে থেকে যাক,
যত ছিল হৃদয়ের আয়োজন।