মাঝে মাঝে ক্লান্ত হই,
যমুনার তীর খুঁজি রাধিকা।
তোমার প্রেমের যমুনা আজ শুকনো বালুচর,
তোমার কালা আজ নিঃসঙ্গ পুরুষ।
বাঁশির সুর আজ বিশাক্ত সাপের ছোবলের মত লাগে,
কদম গাছটির তলায় এখন পচা লাশের দুর্গন্ধ ।
প্রেম আজ অভিশপ্ত-বিশাক্ত ,
তোমার যমুনা অগণিত ভ্রুনের খুনে রক্তাক্ত ।।


পার্কে-পার্কে, রেস্তরাঁ থেকে রাস্তায়,
ভ্যাপসা শরীরি গন্ধ।
অসংখ্য খুপরি জানালা বিহীন,
নগ্ন সভ্যতা,
মুখে তার কলুপ আটা।।


রাধিকা,
তোমার মতো করে কেউ আর,
জল ঢেলে পথ পিছল করে
অভিসারে যাওয়ার রিহার্সেল করেনা,
কেউ আর অন্তর দিয়ে অনন্তকাল প্রতিক্ষাও করেনা।


তুমি জানো রাধিকা,
যুগ বদলে গেছে অনেক,
সভ্যতা এখন যান্ত্রিক।
এখন পরকিয়া অপরাধ নয়,
নারীর শরীর ছোয়াও নয়।
এখন রাস্তায় - মন্দিরে-মসজিদে-গির্জায়,
নারীকে ধর্ষিতা হতে হয়।


বিকৃত হয়েছে মানষিকতা,
বিক্রিত হয় প্রেম,
স্বার্থের কাছে।
বদলেছে প্রেমের সঙ্গা,
আধুনিকতায় প্রেম আজ শুধুই শরীর ছোয়া।


( ভূল ত্রুটি মার্জনীয়)