তুমি না আপনি!
গোলমেলে।
বিষয়টা দারুণ।
আমার কাছে নতুন ;
মানে,
নতুন তুমি,
নতুন তোমার ভিতরের তুমি,
নতুন মুখ,
নতুন তোমার পাগলামি।


আমি প্রেমিক,
আমি নতুনের প্রাপ্তিতে,
নতুন করে হারিয়ে যাওয়া পুরুষ।
আমি মশগুল,
নতুন পরশে,
নতুন মায়ায়,
নতুন ভাবনায়,
নতুন কল্পনায়।


আমার হাজার বছরের পুরনো ব্যথা মাখা প্রেম,
বিরহের সুতীব্র যাতনা,
আমার যুগ যুগান্তরের আয়োজন,
আমার মধ্য রাতের ঘুম ভাঙা স্বপ্ন,
নতুন করে অতীত ভূলে,
নতুনের টানে,
অজানা দিগন্ত পানে চায়।


মুহূর্তে ফিরে যাই অতীতে,
ফেলে আসা প্রিয়তমার হলদে স্মৃতিতে,
ক্ষণিকের সেই বিহ্বল আবেগে,
বোকামি ভরা পাগলামিতে।
জীবনের সেই সরু গলিতে,
যেখানে কখনো এসেছিল বসন্ত,
ফুটেছিল ফুল কৃষ্ণচুড়ার শাখায়,
বেজে ছিল গান,
এসেছিল বর্ষা,
তারপর শরৎ।


মেতেছিলাম দুজন সেদিনও,
এক নতুন স্বপ্নে।
কত ভালোলাগা,
প্রথম প্রেমের আবেশে,
পাঠ্য বইয়ে তার মুখ দেখা।
ভাতের থালায়,
আর জ্যোৎস্না রাতে,
অথবা উত্তপ্ত জনতার মাঝে,
তার দেবী প্রতিমা।


একদিন হঠাৎ,
কালবৈশাখী এল,
সে ভীষণ ঝড়।
চারিদিক অন্ধকার,
বিদ্যুৎের চমক।
ভেঙে গেল আমার স্বপ্নের বাসর,
বালির বাঁধের মত ভেঙে গেল,
আমার নিভৃত হৃদয়ের উত্তাপ।
দাবানলের মত পুড়ে ছারখার হয়ে গেল,
আমার ভিতরে যত্ন করে,
তিল তিল করে,
গড়ে তোলা অরণ্য।
নির্জনতায় ছেয়ে গেল হৃদয়,
ঝলসে যাওয়া ক্ষত,
ক্যানসার হল।


আমার সবুজ মন,
আজ শুষ্ক সাহারা,
আমার দেবী মূর্তি,
আজ কালি মাখা।


আমার সেদিনের ভাঙা আয়না,
আজ নতুন করে ভোরের আলোয়,
ঝলমলে,
তোমার নতুন তুমিতে,
আমি আবার স্বপ্ন দেখি,
আবারো রাত জাগি,
আবারো কবিতা লিখি।


আমি আবারো,
অপেক্ষা করি,
আরেকটা স্মৃতির ;
আরেরকটা কালবৈশাখীর।


বাকীটা সময়ের অপেক্ষা....