এক নজরে হয় প্রথম দেখা ,
দুই নজরে হয় কবিতা লেখা ।
তিন নজরে হয় কথা বলা ,
চতুর্থ নজরে সাথে পথে চলা ।
পঞ্চম নজরেতে হয় বন্ধুত্ব ,
ষষ্ট নজরেতে বাড়ে গুরুত্ব ।
সপ্তম নজরে সে মনের কথা কয় ,
অষ্টম নজরেতে ভালোবাসা হয় ।
নবম নজরে তার হাত ধরা ,
দশম নজরে তাকে প্রপোজ করা ।
এরপর সবার সাথে যা হয় ,
আমার জীবনের গল্প কিন্তু এক নয় ।
আমার প্রপোজ করাতে সে কিছু নাই করে ,
কিন্তু একটু হেসে সে আমায় জড়িয়ে ধরে ।
সেই অনুভুতি আমায় দিল এত সুখ ,
যে হাসিতে ভরে উঠল তখন আমার মুখ ।
তারপর আমরা হাত ধরে পথেতে একটু হাঁটি ,
মনোরম লাগে চাঁদের আলো অদ্ভুত লাগে মাটি ।
চলতে চলতে দূরে দেখি একটা ফুচকাওয়ালা দাঁড়িয়ে ,
সে বলল ‘আমরাও খাবো’ আমার হাতটিকে নাড়িয়ে ।
আমিও তখন মাথা নাড়িয়ে বললাম ‘ঠিকাছে চলো ,
তুমিই হলে আমার রানী , তাই হবে যা বলও’ ।
হাসি মুখে সে এগিয়ে গেল আমার হাতকে ছেড়ে ,
দেখল না সেই বড়ো গাড়িটা যেটা আসছিল তেড়ে ।
গাড়িটা তাকে ধাক্কা মারলে সে ছিটকে পড়ল দূরে ,
আমিও হটাত আওয়াজ শুনে দেখলাম সেদিকে ঘুরে ।
দেখলাম তার রক্তাক্ত দেহ করছে যন্ত্রণায় ছটফট ,
আমিও দেরি না করে সেবাজান’কে ডাকলাম চটপট ।
সেবাজানের জন্য সে আর অপেক্ষা না করতে পারল ,
এই জগতে আমায় ছেড়ে সে এই জগতকে ছাড়ল ।
আজকে সে স্মৃতি হয়ে রয়েছে আমার মনে ,
তাকে মনে করে আমি কাঁদি গোপনে ।
কে জানত সেইদিন-ই সেটা ছিল তার শেষ নজর ,
আজকে তার নেই খবর ---- আজকে কেবল কবর ।।