জীর্ণ শরীরে মৃত্যুর বুকে যে সব প্রশ্ন ওঠে |
সেই প্রশ্নের জবাব আজ নেই যে কারুর ঠোঁটে ||
আপনজনেরা সবাই আজ গেছে দূরে সরে |
দূরবস্থায় আমায় ফেলে ও অসহায় করে ||


চোখ থেকে পড়া নোনাজল-ই আজকে আমার সাথী |
এখন শুধু মৃত্যুর আঁচলে ঘুমানোর স্বপ্ন গাঁথি ||
মনে পড়ে  অজ্ঞানকৃত অতীতে করা সব ভুল |
চোখে পড়ে সেই শকিয়ে যাওয়া ভুল কর্মের ফুল ||


ছোট ভাই বোনদের দেখেছি নিজের সন্তানদের মত |
দিয়েছি সব সুখ তাদের দিতে পেরেছি যত ||
নিজের সব সুখ আমি তাদেরকে দিয়ে দিয়েছি |
তাদের সব দু: খ আমি নিজের ভাগ্যে নিয়েছি ||
আমি আশা করেছিলাম যে তারাও হাত বাড়াবে |
আমি ভেবেছিলাম আমার দরকারে তারা আমার পাশে দাঁড়াবে ||


সন্তানকেও আমি ন মাস পেটে ধরেছি |
তার প্রতিও আমি আমার সব কর্তব্য পালন করেছি ||
তার ছোট আঙুল ধরে তাকে চলা শিখিয়েছি ||
তার হাত ধরে আমি তাকে ক খ গ ঘ লিখিয়েছি ||
আমি শুধু ভেবেছিলাম যে সে এই সব মনে রাখবে |
আমার দরকারের সময় সে আমার পাশে থাকবে ||


জীবনের শেষ মুহূর্তে এখন আমি তাদেরকে চাই |
কিন্তু তারা কেউ এখন আমার কাছে নাই ||
এখন আর কি-ই বা লাভ করিয়া আপশোষ |
আশা করেছিলাম আমি -- সেটা আমার-ই দোষ||
উপকারর বদলে উপকার পাওয়ার চেয়েছিলাম আমি চুক্তি |
উপকারের সময় নিজ স্বার্থ হইতে পাইনি আমি মুক্তি |


সাহায্যের বদলে সাহায্যের আশা করা উচিত নয় |
আশা করেই পরে মানুষকে কষ্ট পেতে হয় ||
ভালোর বদলে ভালোর আশা রেখো না |
মনের মধ্যে স্বার্থের বাসা বেঁধো না ||
ভালো করে যাও কিন্তু ফলের আশা করো না |
ভালোর বদলে ভালো-ই হবে-----এমন ভাবনা ধরো না ||
বিনা স্বার্থে কাজ করলে কখনো থাকবে না কোন ক্ষোভ |
কোন কষ্ট, কোন আশা বা কোন অভিযোগ ||