কল্লোলিনী কলকাতার শ্রাবণের স্রোতস্বিনী ভরা গঙ্গার ,,
এক অপরূপা রূপ ছিলে তুমি,, আজও মনে পড়ে – সেই হারানো,
অতীতের স্মৃতি, শ্রাবণী পূর্ণিমার রাতে, ছোট্ট এক ডিঙ্গিতে, স্বপ্নের জাল বুনে,,
তুমি আর আমি, যাচ্ছি তো যাচ্ছি, মধ্য রাতের গঙ্গায়, কোনও এক নাম না জানা ঠিকানায়,,
নিশীথের দমকা হাওয়ায়, যখন ভালই দুলছিলো সে রাতের ডিঙ্গি নৌকো,
এক নিবিড় অনুভূতির উষ্ণতায় – আদরে আদরে তুমি বললে আমায়,
‘দীপ’, আজ যদি ডুবে যাই – এই মাঝ গঙ্গায়, কি হবে আমার স্বপ্নের, আমি যে তোমায় ভালো বাসতে বাসতে,
হারিয়ে গেছি – নীল সাগরের মোহনায়,, আমি বললাম, কেন ডুবতে যাবো ‘পাই’, আর তো মাত্র,
দুটি বসন্তের অপেক্ষায়, আমরা ঘর বাঁধবো – কোনও এক সুদূরে, জন কোলাহলহীন,
রুদ্র সাগরের ওপারে,, যেখানে থাকবে শুধু জোয়ারের ঐক্যতান, তোমার ভালোবাসা,
আর পাখিদের নীড়ে ফেরার সুরেলা গান ,,


‘পাই’, মেঘ বৃষ্টি ঝরে, বহুবার প্লাবিত হয়েছে গঙ্গা, তবু কলকাতা আজও আছে গঙ্গার পাড়ে,
গঙ্গা রয়েছে কলকাতার অন্তরে, শুধু তুমি নেই, নেই কল্পিত “দীপাই”,
তোমার আমার সেই ছিল বৃষ্টি ভেজা শেষ আঁধারে রাত, ফিরে আসেনি আর কোনও আগুনে শ্রাবণ,,
শীতের কুয়াশায় ঢাকা পৌষালী সকাল, কিম্বা মাঘের নিরালা দ্বিপ্রহর,,
তোমার ‘বিধির বিধানে’ কালবৈশাখীর অনাকাঙ্ক্ষিত তুফানে, ছিন্নভিন্ন হয়ে গেলো –
আমার হৃদয়, স্বপ্নের তুমি আর কল্পনার “দীপাই” ,, হারিয়ে যাই আমি একাকীত্বে, তোমার সেই সাগরের মোহনায়,,
নিয়ে যাই তোমার সান্ত্বনার চিরকুট – “ক্ষমা করো দীপ, হারিয়ে যেওনা তুমি জীবন সংগ্রামে”
ভাষাহীন আমি লিখে যাই তোমায় –
“আভিজাত্যের ছাঁদনাতলায় , সুন্দর হোক জীবন তোমার,
সিঁথির সিঁদুর উজ্বল হোক, জ্বলজ্বলে হোক আরও লাল, শুভ্র শঙ্খের অক্ষয়তা নিয়ে,
বেঁচে থাকো তুমি চিরকাল ।”