আজ খুব খুব হাসছি আমি, অট্টহাসি, আনন্দের অশ্রুতে
প্রাণহীন এক হাসির ফোয়ারায়, শুকিয়ে যাবে আমার নয়নবারির দুগাল
কাল থেকে তোমায় নিয়ে আর ভাবতে হবে না – সকাল,দুপুর,বিকাল
আজ চির বিদায়ের পালা , তাই এই ছোট্ট স্মৃতির মালা
আনুষ্ঠানিক তোমায় মুক্তো করে দিলাম,
রাত জেগে আর বলবোনা কথা, তোমায় সাজিয়ে লিখবোনা কবিতা,
বলবোনা তোমায় আর, হেই হাসছোনা কেন ?
কোথায় তোমার সেই হাসির ঝিলিক ! মিষ্টি দুগাল !
একদিন তোমার দুচোখে দেখি মৃগনয়নীর তৃষ্ণা !
তোমার টোলপড়া অপরূপা দুগালে, আমার কবিতার ঠিকানা...
সদ্য যৌবনের আহ্বান , আমার জীবন কাব্যের প্রেরণা !
এমনি করেই ভালোলাগা থেকে ভালোবাসায় চলে যায় মন
বসন্তের কোকিল ডাকে , আসে শিমূলের ফাল্গুন
বৃষ্টিতে ভেজা শ্রাবন ; হারিয়ে যাই – তুমি আর আমি,
একে অপরের জন্য – জন অরণ্যে, রাত নেই দিন নেই
কথায় কথায় শুধু গুণগুণ
অথচ কি নির্মম পরিণতি আজ, অকারণে এলো সেই অশুভ লগণ
আমায় সাজাতে হচ্ছে, চির বিদায়ের সাজ ,
“ভালোবাসা”... মেঘের আড়ালে ডুবে যাওয়া তুমি এক আলোহীন নীহারিকা
ক্ষত-বিক্ষত করে গেলে আমার হৃদয়
এতটাই নির্দয়া তুমি , এতটাই বিস্ময়
তোমায় ফেরাতে পারিনি , অহরহ, লাগাতার বলে বলে,
জীবনের মূলে ; “ভালোবাসা “ !! জানতেও দিলেনা তুমি
কেন অস্তমিত হলে আমায় একা ফেলে !!
তুমি ভালো থেকো “ভালোবাসা” তোমার মতো করে
আমায় হাসতে দাও, বিদায় বেলায়, তুমি ছাড়া প্রতারিত এই অন্তরে !!