বলেছিলে আসবে বলে, রইবে পাশে, আজীবন জীবন ভর...
বলেছিলে লিখবে তুমি – আমার ভাষায় – আমার কবিতায় - আমার পর ...
বলেছিলে জীবন দেবে আমার কাব্যে, ভাষা দেবে তোমার অন্তর –
বলেছিলে লিখবো আমি – আমার ভাষায় , তুমি করবে ভাষান্তর ,
কথা ছিলো , এবার পুজোয় আসবে আমার ‘সংকলন’ ...
প্রচ্ছদে থাকবে তুমি , তুমি-ই করবে অলঙ্করন...
কথা ছিলো এবার পুজোয় রইবো মোরা , জগন্নাথের
পুরীর সাগরতীরে – দেখবো জোয়ার – দেখবো ভাঁটা
তোমার আমার হৃদয় ঘিরে ...
সূর্য্যোদয়ের সোনা সোনা আর সূর্য্যাস্তের লালে লালে
দুলিয়ে দেবে আমার মন , হরিণ চোখের মিষ্টি গালে !


তবু কেন আজ হল এই পদস্খলন , কোথায় তোমার স্বপ্ন বুনন !
কেন হঠাৎ করেই হারিয়ে গেলে , বলবে নাকি সময় করে –
অল্পক্ষণ , আমার যখন ভরা দুপুর , তোমার তখন সবেই
পূব আকাশে সূর্য্যোদয় , কেমন করে ভাবলে তুমি এটাই জীবন...
বর্ণময় , বলবে নাকি , কেন এই রূপ জ্যোতিকার রূপান্তর...
মাঝ দরিয়ায় নৌকো ফেলে , হঠাৎ কেন ভাবের এই ভাবান্তর ...


তবু তোমার আমার স্বপ্নে ভরা ‘সঙ্কলনে’,
রাখবো তোমায় প্রতিশ্রুতির কল্পমনে , প্রচ্ছদটা সাজিয়ে দেবো –
সেই হাসিতে , যে হাসিতে বলতে তুমি, “হেই চলোনা , এবার পুজোয় অন্য কোথায়
যেখানে চিনবেনা কেউ তোমায় – আমায় , থাকবেনা আর লোকারণ্য,
আলোর ভয় , হারিয়ে যাবে দুটি হৃদয়, সোহাগ ভরে , তৃপ্ত মন- তৃপ্তিময়...!!


নাইবা পেলাম তোমার দেখা... তবু যদি সময় হয়, দেখে নিও-
আমার দীপাবলীর সংকলন , কেমন করে হাসতে তুমি –
আর কেমন করে হাসছো এখন !!