পূজোর সাজে সাজছে সবাই
          সাজছে দোকানপাট।
  পৌরসভা বলছে নাকি
                সাজাবে রাস্তাঘাট।
এমন একটা সোনাঝরা সকালে
          ঘুম থেকে উঠে দেখি
চাপা গর্জনে কান পাতা দায় বাইরে হচ্ছেটাকি ?
দরজা খুলে বাড়িয়ে মাথা বাইরে দিলাম উঁকি।
পূরো পাড়াটা স্তব্ধ কেন? নেই নাকি কেউ আজ?
ধুলোর রাশি কাটলে পরে মাথায় পড়ল বাজ।
ভেঙেচুরে আছে ঘরবাড়িগুলো সামনে তাকিয়ে দেখি
বুঝলাম এখন পূরো পাড়াটা কেনই সব্ধ
     তাদের কান্নার আওয়াজ চেপে দিয়েছে
                    বুল্ডোজারের গগনবিদারী শব্দ।
শব্দ নিয়ে এখন সেটা আমার ঘরের কাছে,
দাঁড়িয়ে আছে হাঁ করে আমগাছটার পাছে।
      হাঁ করা মুখখানা দিয়ে আর্ধেক ঘর খেলো,
আবার একটু সামনে এগিয়ে বাকিটুকু  তুলে নিল
   মাটির লেপা ঘরখানা মোর এখন পূরাই জব্দ।


নিঃশ আমি  একটা বছর হারিয়ে ভিটেমাটি
    গাছতলাতে বসে থাকি সামনে ভিক্ষা বাটি।
ফুরসৎপেলে তাকিয়ে থাকি কখনও উর্ধপানে
চক্ষু মুদিয়া মনে মনে শুধু ভগবানকেই ডাকি।
শুধু একটাই প্রশ্ন করেছি একটা বছরভর
      জায়গাজমি দিতে না চাও জীবন দিয়েছ কেন
এবার শমনে পাঠাও মোরে চাইনা জীবন হেন।
একটা বছর ডাকিয়া গেছি টিকিটি মেলেনি তার
       কর্ণকুহরে পৌঁছে নাই ডাক সপ্ত সাগর পার।
ফালতু সময় নষ্ট করেছি করিয়া ডাকাডাকি।
নাকি আমি নিছক গরীব বলেই ভগবানও দেয় ফাঁকি।