বটবৃক্ষ বৃদ্ধ হলেও
স্বভাবদোষে বাড়ে,
অল্পদিনেই নামিয়ে ঝুরি
সবার নজর কাড়ে।
গুল্ম যেমন খেয়ালে আপন
নদীর দুধার বেয়ে,
বাহারী রঙে দেখায় খেলা
সূর্যালোককে পেয়ে।
ঘাসের যেমন কর্মের ফল
পথের মাঝে এসে,
পায়ের নিচে মইমাড়া হয়
মাটির সাথে মিশে।
স্বর্ণলতা ডালকে পেলে
অবাধ যে তার গতি।
স্বমূলে না করলে বিনাশ
হয়নাই তার ইতি।
বাহারীপাতা কচুর মতই
পাতায় রঙের খেলা
অল্প একটু তাকিয়ে থাকো
ভাবনা আসবে মেলা।
বাঁশের যেমন কঞ্চি দঢ়,
পাতায় দঢ় মান।
সূর্যালোককে দেখিয়ে হুটু
যেমন বাড়ে পান।
শিউলি যেমন কদাকার তার
বৃক্ষশাখা মেলে
ভোর হলে তায় ছড়ায় বাহার
শুভ্র চাদর ফেলে।
এমনি অনেক গাছালি আরো
পথের প্রতি বাঁকে।।
নাম না জানা হয়েই তারা
রয় যে চোখের ফাঁকে।।