জন্মের পরমুহূর্তেই হাতে ঝান্ডা নিয়ে
সে অন্ধ হয়ে যায়।
তার রক্তে জেগে ওঠে ঠিক বেঠিক না জানা, বিদ্রোহ।
সোরা আর গন্ধকে ঠাসা
ঝুপরির নীচে, রক্ত মাখা তার বিছানা।


দু-চার বর্ণ পড়তে শিখেনি সে।
তার বাপের সাথে চলে যায় মিছিলে,
অভুক্ত পেট থেকে উঠে আসে শ্লোগান।


ধীরে ধীরে সে হয়ে ওঠে হিংস্র; ‘পোষ্য’!
হাতের নখ দিয়ে মানুষের বুক খুবলে
খুঁজে বের করে হিংসা, খাবে বলে।


তার বুকের নিচের গঙ্গা স্রোত; মানুষ চেনেনা!
শুধু জানে শব টেনে নিয়ে যেতে।


সুরা আর গঞ্জিকা পেটে পড়লে,
সব পাপ পকেটে ভরে নিয়ে;
গোটা রাজ্য কাঁধে নিয়ে চলে।


আসলে সে ভক্ত; ‘অন্ধভক্ত’!
অন্ধ করেছে তার বাপ।


বাকি যারা আছে
শুধু স্বার্থ খোঁজে নেবে আসে উপত্যকায়।
স্বার্থ ফুরলে; গঙ্গা স্নান সেরে
আবার গিয়ে বসে পাহাড় চূড়ায়।


এরা অশিক্ষিত! পাঁড় গোঁড়ামিতে
একে অপরের বুকে শাবল গুঁজে মরে!
আসলে এদের জন্মের পরেই এদের বুকে-
এই বিষ বৃক্ষের বীজ বপন করেছে এদের ‘বাপ’।।