ঝড়ের দাপট শেষে
পড়ে থাকা মোমবাতি টুকুর শিখা
             এখন শান্ত।


একটু আগেই শুনেছি
শত শত বৃক্ষের করুন আর্তনাদ
সেই তীক্ষ্ণ চিৎকার এখনো কাঁপিয়ে তুলছে
হৃদয়ের স্বরধ্বনি!


শত প্রচেষ্টার পরেও ব্যার্থ হয়ে
মায়ের কোলে ঘুমিয়ে পড়েছে
বছর পাঁচেকের মেহগিনী।


হ্যাঁ একটু আগেই স্বচক্ষে দেখেছি;
দানবটি কিভাবে চুলের মুঠি ধরে চাগিয়ে নিল শিরিস টিকে।
আরও দেখেছি মৃত্যু যাত্রা!
এক ধাক্কায় সে কদমের ঘারটিকে
কিভাবে ভেঙে দিল!
সে করুন দৃশ্য কেবল দেখে'ই গেছি!


যখন ফিঙের নীড় টি আছেড়ে ভেঙে দিলো,
চির নিদ্রায় শায়িত হলো তার ছোট্ট সন্তান গুলি!
তার বিনীত চিৎকারে সারা দেয়নি কেউ,
কেউ দাঁড়ায়নি পাশে!
আমি কেবল পিশাচের মতো দাঁড়িয়ে দেখেছি সে দৃশ্য!


হটাৎ বুকটা ধড়াস করে উঠলো!
রাস্তার কুকুরটি!?
সে হয়তো গোটা রাস্তায় দৌড়ে বেড়িয়েছে,
কেউ কি দিয়েছে তাকে আশ্রয়!?
মৃত্যুর পর একমুঠো শোক প্রকাশ ছাড়া
আর কি'ই বা আছে দেওয়ার!?


সে দানবের হুঙ্কারে
কত চিৎকার হয়তো আসেনি কানে,
চার দেওয়ালের মাঝ থেকেও
কত মানুষ খেয়েছে সে!?
সে খবর এখনো পৌঁছায়নি এসে।


কষ্টে গড়া ঘরতো গেছে'ই,
ঘাম ঝরানো ফসল সে'ও গেছে ডুবে।
অসহায়ের অশ্রু ছাড়া,
আর কি আছে কাছে!?


যুদ্ধ শেষে যোদ্ধা কত
আছে এখন ঘুমিয়ে।
কালকে যখন সকাল হবে
আমরা'ই দেব তাদের উপরে ফেলে,
ঝড়ের রাতের যুদ্ধের কথা রাখবে কি কেউ মনে?


মোমবাতিটাও ক্লান্ত এখন
ডুবব এবার অন্ধকারে।।