ঘরের পিছনে এক জঙ্গল বুনেছি;
                                           গভীর জঙ্গল।
সারাদিন শুকনো পাতা ঝরে পড়ে
মনে চেপে বসে দাবানলের ভয়।


রাত্রি যখন নাবে; নিঝুম রাত্রি।
তোমার কৃষ্ণ কেশের ন্যায় অন্ধকার।
অজস্র জোনাকির হাতছানি জাগিয়ে রাখে।
এ জঙ্গল এখন ভীষণ ক্ষুধার্থ,
অনেক দিন সে মেঘ গিলে খায়নি
তাই আমার মন গিলে খেতে চায়।


এখন মানব সভ্যতা থেকে অনেক দূরে
কঠিন বাস্তব সত্য: অপ্রিয়!
দুফুরটা এখানে ভীষণ বিষাক্ত,
নিঃসঙ্গতার বিষাক্ত তাপে;
দাবানলের ভয় বেড়ে ওঠে!
শেষে কাব্যের শব্দ গুলোর তাড়া খেয়ে;
                              সূর্য ঢলে পড়ে।


ফিরে আসা পাখির দল, মনে করায়:
সেই বিস্তৃৰ্ণ ময়দান, শুন্য হাতের তালুতে হাত
যেই দৃষ্টিতে ডুব মারতে চাইতাম, সেই নয়ন।
কিন্তু আর ফেরা সম্ভব নয়,
এই জঙ্গলে বেড়ি বাঁধা আমি
এখানেই পুড়ে মরবো দাবানলে!