একরত্তি শরৎ প্রবাসী পাখির ডানায় মিশিয়ে যায়,
ওই কৃষ্ণচূড়া-ডালিম-ইউক্যালিপটাসের দিগন্তে,
আগ্রার ধোঁয়াশা-কুয়াশায় তাজমহল দেখার আনন্দ
আর শ্বেতপাথরের কলঙ্কের না-মুছেযাওয়া দাগ।
হেমন্তের ছোঁয়া অলক্ষ্যে হারিয়ে যায়, অক্ষবলয়ে,
ধোঁয়া ওঠা একবাটি গরম মোমোর প্রত্যাশী,
দস্তানায় আবৃত, পশমী সোয়েটারে, উত্তরের হাওয়ায়,
ভাঙা টিনের চেয়ারে বসা কোন এক পর্যটক।
দার্জিলিঙের চা বাগানের গন্ধ মাখা রাস্তায়,
এবড়ো খেবড়ো পাহাড়ি খেইয়ে, জীপের সোচ্চার ইগনিশনে,
কালিম্পঙের নেপালি-হিন্দি-ইংরেজি বাক্যের সম্মিলনে,
মিরিকের ঘোড়ার পিঠে চড়া একরত্তি সোনালী রোদ্দুরের
প্রসন্ন কিরণে - এক মুঠো অনুভূতি; বর্ণাঢ্য হয়ে উঠতো।
পাহাড়ের বুকে শিশির জমে জমে জন্মেছিল নদী,
দূর্গম গিরিপথের বাঁকে উল্লম্ফনে আছড়ে পড়েছিল
প্রাচীনপ্রস্তর ভেঙে চুরমার করে, ঝর্ণার অচপল উচ্ছ্বাসে।
একটি একটি করে পাতাঝরা গাছে ফুটবে নূতন কুঁড়ি,
জাইলেমের সংবহনে পরিবাহিত হবে কিছু বর্ণমালা,
কাষ্ঠের অস্তিত্বহীন কোমল হৃদয়ে; যা অপরিচেয় হবে,
কিছু যুগ পর; নিকোটিনভেজা বাতাসের স্বীকারোক্তি।