একলা ঘর            
         রক্ত ঝরা চোখ
       নাভিশ্বাসে আলাপন
      তোমাকে চিনে নিতে
                নতুন কথার সঙ্গম।
আঁচরে ভরেছে শরীর
            কোন পশু ছিল বুঝি -
ভাতের এক গ্রাসও ওঠেনি মুখে ,
হিমঘরে এখনো সে জ্যান্ত
বেঁচে থাকা মানুষের মাঝখানে
          আর্তনাদ স্পষ্ট
কিছুটা উঠে আসে খবরের পাতায় ,
কিছুটা চায়ের দোকান্,
যন্ত্রণায় শুধু ,রক্তের শিশি ওলটায় ;
হামাগুড়ি দেওয়া শৈশব
কৈশোর পেরলনা আর
যৌবন দরজায় …
       আরও রক্ত ;
       আরও রক্ত ;
নিশাচরদের নখের আঁচরে পিশাচের বাক্য
প্রতিটা ক্ষতয় উপন্যাস
শুধু পরবে আর ভুলবে সমাজ ।


    কখনও মোমের আগুনে ,
    কখনও রাতের অন্ধকারে ,
    কখনও হসপিটালের বেডে ,
    কখনও ক্লাস ঘরে ,


ভবিষ্যতের দরজায় কড়া নেড়ে
        শান্তির ঘুম ।
কখনও দেওয়ালে উঠবে ছবি -
        ফুটবে লেখা
টিয়ার গ্যাস আর জল কামানে পড়ছে চাপা
   তবু  যা ছিলও তাই আছে
         পাল্টাবেনা ;


কলমের ঘষায়  একরাশ লেখা
   বিনোদন হয়েছি আমি ;
      টিভির পর্দায়
             টী.র.পির মারামারি ।
        একলা ঘর ,
         ক্লাসরুম  ,
      আঁকার খাতায়
       রক্তের ছিটে
       উড়ছে ছাই
তবু চায়ের কাপে      আমাকে চাই ।
আমি সহযোগী মশলা খবরের ,
কখনও ফেইসবুকে     হাজারো লইকে
    কখনও টুইটে
   আমি  নির্যাতিত
          নিষ্পেষিত
           ধর্ষিত
   কখনও  আমাতে ।
  কখনও  তোমাতে ।
কখনও ভরের আলো উটবেনা আর ?
কখনও মেলবেনা ডানা এ সংসার ?
     একলা ঘর
  একলা পরিবার
কখনও যদি আমায় দেখো
    উটবে বলে
কখনও অন্তরালে     কখনও চাপা স্বরে
  " আরে ; এটা ত ওই মেয়েটা ... "
টানবে আমায় ,রগরগে গল্পাসরে
    ছিঁড়বে শরীর আবার     তুমি ,
      তোমার মতো  করে -
       খুলবে শরীর,
       পুড়বে শরীর,
  ট্রামে বাসে আস্তাকুরে ,
মোমের আলো নিভেছে ঘরে
শুধু আমার প্রতিটা মজ্জায়
  কলঙ্কিত অলংকারে
    আমি  নির্যাতিত
           নিষ্পেষিত
    ধর্ষিত বারবারে
   কখনও আমাতে ।
  কখনও তোমাতে ।
এ  অভাগার সংসারে ।।