পূব আকাশে লাল ধরেছে
একঝাঁক পাখি মেলেছে ডানা
খুঁজতে নতূন দিনের ঠিকানা ।
আবার নতূন ভোর
মেলে ধরে নবীন আশার ডালি
নতূন কর্মযোগ ,
কত বিশ্বাস মাখছে গায়ে
কত স্বপ্ন জন্মায়
শরীরের মজ্জায় মজ্জায় -
বাকি আর একটু সময়
তারপর শরীরের আবেশ যাবে কেটে
কেউ যাবে অফিস পাড়ায় ,
কেউ যাবে মাঠে ,
কেউ বা যাবে দোকানটাতে -
হচ্ছে দেরি তার
চিৎকার করে বলছে সে ,
" আরে অনেক হল বাসটা এবার বেরিয়ে যাবে বাথরুম টা ছাড় "
আমিও আছি তাদের সাথে প্রজাপতি রং মেখে
সাতসকালে দোলনা চড়ে
খেলছি উঠোনেতে ,
স্কুল তো ছুটি , বড়দিনের ,
পড়ছি না আর তাই
মা ও বলেছে কয়েকটা দিন
তারও ছুটি চাই ।
বাবার বুকের যন্ত্রণাটা
এখুন অনেক কম
তাইত এবার ঠিক হল ,
আমারা যাচ্ছি, দমদম
মামার বাড়ি ,
বড়মামা ,ছোটমামা, দাদু , দিদুন
অনেকদিন পর
পাব দেখা আবার তাদের
ঘুরব এবার শহর ।
সেই দিনটা , "৩১শে ডিসেম্বর"
বেড়িয়ে গেলাম
মামা ডাকল গাড়ি
চিড়িয়াখানা , ভিক্টোরিয়া
দেখে , সোজা আবার বাড়ি
হঠাৎ করে উঠল বেজে
মামার নতুন ফোন
হাসিটা তার মিলিয়ে গেল
মুখ, থম্ থম্
বলল শুধু , " গাড়ি ঘোরা যেতে হবে বাড়ি
জামাই বাবুর বুকের বেথার হয়েছে বাড়াবাড়ি
আমারা তখন দরজা গড়ায়
লোক জমেছে কত
দেখেই যে মা আঁতকে ওঠে
বলে বুকের বাথায় লোক কেন এত ?
থামলে গাড়ি এগিয়ে চলি
বারার ঘরের দিকে
দেখি লোক রয়েছে ঘিরে , বাবা ঘুমছে পালঙ্কেতে -
আছেরে পড়ে মা আমার
চীৎকার করে ওঠে
তারপরে মা ঘুমিয়ে পরে
বাবার, বুকেতে মাথা রেখে
সবাই মিলে দৌড়ে আসে
ডাক্তার আসে আবার
শুকনো মুখে বলে শুধু
" আমার নেই কিছু করবার "
ঘরের কোনে দাড়িয়ে আমি
দুচোখ ভরে দেখি
বাবার কোলে মা ঘুমল
আমায় দিয়ে ফাঁকি
দুচোখেতে জল এল না
এল না মুখে কথা
নতুন বছর দিল আমায় অনাথ নামের ব্যথা ।।