আজকাল আর নুপুর অনলাইন হয় না ;
ধুলোমলিন আজ তার সেই প্রিয় ড্রেসিংটেবিলের আয়না।
ফিরে দেখা যাক কিছু ফ্ল্যাশব্যাকের কথন;
ক্লাস নাইনের সেই প্রথম প্রেম যা সে রাখত করে যতন।
বাংলা টিউশন ব্যাচে হয়েছিল তাদের প্রথম আলাপ;
আজও ড্রয়ার বন্দী ভ্যালেন্টাইন ডে তে পাওয়া সেই চিঠি আর নিষ্প্রাণ গোলাপ।
তাদের রাতজাগা প্রেমেজর্জর চ্যাটের "আমি তোকে ভালবাসি;"
শুনতে পেয়ে নুপুর হয়ে যেত বড় খুশি।
প্রথম হাত ধরার সময় লজ্জালু ছিল তার মুখ;
এইটুকুতেই খুশি ছিল, সে, খুঁজে নিত সব সুখ।
ভাল কাটছিল সময়, ভালবেসে চলছিল দুই মন ;
হঠাত একদিন প্রেমের আড়ালে শুরু হল যৌনতার কথন।
নুপুর বড় ভালবাসত বাধা দেয়নি সে;
নিষ্পাপ ভালবাসা তাই পরিণত হয়েছিল নোংরা যৌনলালসা তে।
মাঝরাতে একদিন হঠাত সে পায় মিলন প্রস্তাব;
সতীত্ব না ভালবাসা, দ্বিধাগ্রস্ততায় সে ভাবত নিজের জীবন কে অভিশাপ।
অবশেষে রাজি হল সে সপে দিল তার সতীত্ব ;
মুছে গেল নিষ্পাপ ভালবাসার শেষ অস্তিত্ব।
সময়চক্রে সে করে ফেলল গর্ভধারণ;
প্রেমিক শুনে গেল রেগে,জানাতে সবাইকে করল বারণ।
এরপরেই নুপুর হয়ে গেল ব্লকলিস্টের ভাগীদার ;
ভেঙে গেল সেই ভালবেসে হাত ধরে চলার অংগীকার।
দোষ ছিল নুপুরের, ভালবেসে সে সপেছিল শরীর,
ভালবাসার মিষ্টকথনে সে হয়ে গেছিল জ্ঞানশুন্য বধির।
সতীত্ব নষ্টের কথা সে জানাতে পারেনি কাউকে,
পরেরদিন তাই তার নিথর দেহ ঝুলে ছিল সিলিং এর দড়ির ফাঁসে।
আজ কেটে গেছে অনেক বছর,
সেই প্রেমিক এখন অন্য প্রেয়সীর সাথে প্রেমেজর্জর।
নুপুরের ড্রয়ারে আজও আছে সেই চিঠি আর সেই নিষ্পাপ ভালবাসার বায়না;
কিন্তু বদলেছে সময় নুপুর তো আজ আর অনলাইন হয় না।।